রাজধানীর বনানীর ২২তলা বিশিষ্ট এফ আর টাওয়ারের ভয়াবহ আগুনে এখন পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে টাওয়ারের ৯ তলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া শকসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের বিল্ডিংগুলোতেও। এফআর টাওয়ারের পাশেই আহমেদ টাওয়ার। সেখানে রয়েছে বেসরকারি টিভি চ্যানেল দুরন্ত টিভির অফিস। অগ্নিকাণ্ডের প্রভাব পড়েছে সেখানেও।
এফআর টাওয়ারের আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করলে আশপাশের সব ভবন থেকে নেমে যান লোকজন। দুরন্ত টিভির কর্মীরাও প্রাণ বাঁচাতে নিচে নেমে নিরাপদ স্থানে চলে যান। আর এ কারণে বাধ্য হয়েই চ্যানেলটির সম্প্রচার সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয়েছে।
দুরন্ত টিভির অনুষ্ঠান প্রধান মোহাম্মদ আলী হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডে চারদিকে অবস্থা খুবই ভয়াবহ। আমাদের পাশের বিল্ডিংয়েই আগুন। আমাদের বিল্ডিংয়েও একটু আঁচ লেগেছে। প্রচুর ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন চারদিক। তাই সম্প্রচার সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার সম্প্রচার শুরু হবে।
এ দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিটের সাথে কাজ করছে বিমান বাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার। ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও জানান, আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। তবে শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস ছাড়াও ভবনের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরা অবস্থান করছেন। ভবনের অধিকাংশ লোকই নিচে নেমে অবস্থান নিয়েছে।
ভেতরে অনেকে আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া বহুতল ভবনটির পাইপ বেয়ে অনেককে নিচে নামার চেষ্টা করতেও দেখা গেছে।