Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৭ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

এফআর টাওয়ারে আটকে পড়াদের উদ্ধারে অংশ নিল সেনাবাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০১৯, ০৪:২১ PM
আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৯, ০৪:৫৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউর এফআর টাওয়ারে আটকে পড়াদের উদ্ধার করতে অংশ অংশ নিয়েছেন সেনাবাহিনী সদস্য। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে ভবনের ভেতর থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস। 

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে ভবনটির ৯ তলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। 

ভয়াবহ রকমের আগুনের কবলে থাকা এফআর টাওয়ারের ছাদে আটকে পড়াদের উদ্ধারে হেলিকপ্টার অভিযান শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করতে পেরেছে যৌথ বাহিনী।

অক্লান্ত চেষ্টা করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না ফায়ার সার্ভিস। ভয়াবহ এ আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে ইতোমধ্যেই যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর কয়েকটি ইউনিট।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ভয়াবহ আগুনে জ্বলছে এফআর টাওয়ার। পাশের একটি ভবনেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে আগুনের তীব্র ধোঁয়া আশপাশে ছড়িয়ে পড়েছে। ধোঁয়া থেকেও এখন বড় ধরনের ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। উদ্ধারকারীরা মাস্ক লাগিয়ে তৎপরতা চালাচ্ছেন।

আগুন থেকে বাঁচতে ভবনের নিচে নামার চেষ্টা করছেন আটকে পড়া বহু মানুষ। অনেকে জানালা দিয়ে গ্রিল ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নেমেছেন। আবার অনেকে বাঁচতে গিয়ে ভবনের ছাদে অবস্থান নিয়েছেন। অনেকে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহত হয়েছেন একজন।

আটকে পড়া বহু মানুষ জানালা দিয়ে হাত বের করে তাদের বাঁচানোর আবেদন করেছেন। এই জানালাও আগুনে জ্বলতে শুরু হয়েছে এখন। এই মানুষগুলোর কী হবে তা, এখন আর বোঝা যাচ্ছে না। যদিও ছাদের কয়েকজনকে বাঁচানো গেছে।

সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর কয়েকটি ইউনিট আগুন নেভাতে এবং আটকে পড়াদের উদ্ধারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চেষ্টা করছেন।

আটকে পড়াদের এয়ার লিপ্টের মাধ্যমে উদ্ধার করা হচ্ছে। এছাড়াও উদ্ধার ও আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে ফায়ার সার্ভিসসহ নৌবাহিনীর ফায়ার টিম এবং বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার। আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে কাজ করছে এছাড়াও ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভেতরে অনেকে আটকা পড়েছেন। এদিকে ভেতর থেকে জীবন বাঁচানোর আকুতি জানিয়ে সিঁড়ি পাঠানোর কথা বার বার বলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে আমাদের দয়া করে বিকল্প সিঁড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। আর না হলে আমরা মারা যাব।

এদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাধারণ মানুষ স্বেচ্ছাসেবীর ভূমিকা রাখছেন। আশপাশের এলাকায় পানির সন্ধান করা, পাইপ টেনে নিয়ে যাওয়ায় দমকর্মীদের সঙ্গে ব্যস্ত হয়ে পড়তে দেখা গেছে অসংখ্য মানুষকে।

Bootstrap Image Preview