বগুড়ার ধুনট উপজেলার যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের সংযোগ রাস্তা থেকে নিয়ে যাওয়া প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ইট জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে উপজেলা প্রশাসন ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেনের বাড়ি থেকে ইটগুলো উদ্ধার করে। গত রবিবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে তিনি ইটগুলো বাড়িতে নিয়ে যান তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের রঘুনাথপুর মাদ্রাসাসংলগ্ন পাকা সড়ক থেকে যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পর্যন্ত প্রায় ১০০ মিটার দীর্ঘ একটি সংযোগ সড়ক আছে। সড়কটি একসময় কাদাপানিতে চলাচলের অযোগ্য ছিল। এ কারণে গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ব্যবস্থাপনায় সড়কটিতে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে মাটি ভরাট করে ইট দিয়ে সোলিং নির্মাণ করা হয়। প্রায় ৩ মাস আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংস্কারের সময় ওই সড়কের পূর্বভাগে ২০ মিটার অংশ থেকে সাড়ে তিন হাজার ইট তুলে বাঁধের পাশে স্তূপ করে রাখে। সেখান থেকে ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গত রবিবার সন্ধ্যার দিকে স্তূপ করে রাখা ইটগুলো বাড়িতে নিয়ে যান।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ধুনট উপজেলা প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, সরকারি সড়ক থেকে ইট নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আগে জানা ছিল না। খবর প্রকাশের পর তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় ইটগুলো মোয়াজ্জেম হোসেন নামের এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বাড়ি থেকে জব্দ করা হয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কি না, তা তিনি বলতে পারেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বলেন, সরকারি সড়ক থেকে ইট নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানার পর অভিযান চালিয়ে সেগুলো জব্দ করা হয়েছে। তবে ওই নেতার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা, সে সম্পর্কে তিনিও কিছু জানাতে পারেননি।
তবে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বাঁধের পাশে তুলে রাখা সড়কের ইটগুলো রাতের বেলা স্থানীয় লোকজন চুরি করে নিয়ে যেতেন। তাই তিনি সেখান থেকে ইটগুলো নিয়ে সংরক্ষণ করেন। প্রশাসনের কথায় সেগুলো ফেরত দেওয়া হয়েছে।