বগুড়ার শেরপুরের আমিনপুর এলাকায় জেএসবি ইট ভাটার সরকারি রাজস্ব বাকি থাকায় ভাড়া বহনকারি ট্রলি জব্দ করেছে বগুড়া কাস্টমস, এক্সাইজ এন্ড ভ্যাট সার্কেল-২ এর সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা। ট্রলির মালিকরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
জানা যায়, উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের আমিনপুর গ্রামের আব্দুস ছোবাহান আমিনপুর এলাকায় জেএসবি নামের ইট ভাটা দিয়ে ব্যবসা করে আসছে। ব্যবসা করে আসলেও ওই ইট ভাটার মালিক আব্দুস ছোবাহান ভ্যাটের ৩লাখ ৯৬ হাজার টাকার মধ্যে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু বাকি ২ লাখ ৩৬ হাজার টাকা পরিশোধ না করেই অবৈধভাবে ইট বিক্রি করে আসছেন। এ সময় বগুড়া কাস্টমস, এক্সাইজ এন্ড ভ্যাট সার্কেল-২ এর সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা মো. হেলাল হোসেন খবর পেয়ে গত ২০ মার্চ বিক্রিত ইট ক্রেতার ভাড়া করা ট্রলিযোগে কুসুম্বি ইউনিয়নের বাগড়া গ্রামের ফরিদুলের ও গত ৯ মার্চ আমিনপুর গ্রামের ইমানের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় পথের মধ্যে আশরাফুলের ট্রলি হামছায়াপুর কাঠালতলা এবং ফেরদৌসের ট্রলি আমিনপুর এলাকা থেকে জব্দ করেন। ট্রলি জব্দ করার ফলে তাদের রোজগার বন্ধ হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
ট্রলির মালিক ফেরদৌস জানান, এনজিও থেকে ৯০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ট্রলিটি কিনেছি। বিভিন্ন জায়গায় ভাড়া খেটে যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে এনজিও’র কিস্তি এবং সংসার চালাই।
এ ব্যাপারে বগুড়া সার্কেল-২ এর সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা মো. হেলাল হোসেন বলেন, ভ্যাট পরিশোধ না করায় ভাটা এবং ভাটার ভিতরের পণ্য অবৈধ। আর অবৈধ পণ্য বহনকারি পরিবহনটিও অবৈধ হিসেবে জব্দ করা হয়েছে।