সুস্থ অবস্থায় কারাগারে গেলেও বর্তমানে খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। দ্রুত তাকে তার পছন্দের বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় তার কিছু হলে সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কারা কর্তৃপক্ষকে এর দায়ভার নিতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, কারাগারে খালেদা জিয়া সীমাহীন কষ্ট ভোগ করছেন। তার চিকিৎসার বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ উদাসীন। সুপরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যার দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। গত তিন মাস ধরে তার কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়নি।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার বেগম খালেদা জিয়া পরিবারের সদস্যরা কারাগারে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তারা এসে বলেছেন, তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমিও কোর্টের মধ্যে দেখেছি, তিনি মাথা সোজা করতে পারছেন না। পা বাকা করতে পারছেন না। তাকে জোর করে হুইল চেয়ারে বসিয়ে কোর্টে নিয়ে আসা হয়।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দুইবার বিরোধীদলীয় নেতা-এমন একজন নেত্রীকে কোনো রকমের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। আমরা বারবার বলেছি, তাকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এর দায় দায়িত্ব কারা কর্তৃপক্ষ ও সরকারের।
‘আমরা জানি, আমরা একটি গণতন্ত্রবিহীন, প্রতিকারহীন দখলদারী রাষ্ট্রে বাস করছি। এই সরকার পুরোপুরি দখলদার। বেআইনিভাবে তারা ক্ষমতা দখল করে আছে। আমার মনে একটি বর্বর সমাজেও অসুস্থ মানুষের প্রতি একটা মানবিক আচরণ করা হয়। যা এই সরকার করছে না।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের দাবি একটাই। অবিলম্বে এই মুহূর্তে খালেদা জিয়াকে তার পছন্দের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হোক এবং সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। অন্যথায় যদি তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে তাহলে সমস্ত দায়-দায়িত্ব সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কারা কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই বহন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জে ড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা প্রফেসর ডা. সিরাজউদ্দীন আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহূল কবির রিজভী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।