প্রতি দুজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের মধ্যে একজন মাস্কুলোস্কেলিটাল অসুস্থায় ভুগে থাকেন-এটা গবেষকদের অভিমত। গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বে ডিজঅ্যবিলিটি তৈরিতে মাস্কুলোস্কেলিটাল অসুস্থতার অবস্থান দ্বিতীয় স্থানে। অসঙ্গতিপূর্ণ ভঙ্গির কারণেই আমরা বেশিরভাগ সময় ব্যথায় ভুগে থাকি।
শুধু ব্যথা নয়, বেঠিক ভঙ্গির কারণে শ্বাসকষ্ট, বদহজম, সারকুলেটরি সিস্টেম এবং ওভারঅল শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
আসুন, আমরা জেনে নিই পাঁচ আভ্যাসে সম্পর্কে, যা আমাদের কোমর ব্যথা তৈরিতে সাহায্য করে।
পেছনের হিপ পকেটে মানিব্যাগ ব্যবহার করা : পেছনের পকেটে মানিব্যাগ ব্যবহার করলে আমাদের পেলভিস টুইস্ট হয়। পাইরিফরমিস মাসেলের ওপর চাপ পড়ে। ফলে সায়াটিকা, পায়রিফরমিস সিনড্রম এবং কোমর ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় ।
কাঁধে ভারী ব্যাগ বহন করা : বর্তমানে আমরা প্রায় সবাই কাঁধে ভারী ব্যাগ বহন করে থাকি । যে ব্যাগের মধ্যে থাকে ওয়ালেট, মোবাইল ফোন, নোটবুক, আই প্যাড, মেকআপ বক্স, ল্যাপটপ ইত্যাদি। আজকাল শিশুরাও কাঁধের ব্যথা, পিঠব্যথায় ভুগছে শুধু বেশি ওজনের ব্যাগ বহন করায়। শিশুরা তার ওজনের ১৫ শতাংশের বেশি ওজন কাঁধে বহন করলেই সমস্যা। এতে টেনশন হেডেক, কাঁধে ব্যথা, ফরোয়ার্ড হেড পোশ্চার ইত্যাদি হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
বেঠিক পদ্ধতিতে জুতা ব্যবহার : অনেকেই আরামদায়ক বা অয়েল ফিটেড জুতা ব্যবহার করি না। নারীরা অনেক উঁচু হিল পরে। উচুঁ হিল পরায় ওয়াকিং গেট অর্থাৎ হাঁটার ভঙ্গি পরিবর্র্র্তন হয়। ফলে কোমর, হিপ, হাঁটু, পায়ের গোড়ালির ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। এতে কোমর ব্যথা, হাঁটু ব্যথা, পায়ের গোড়ালি ব্যথা তৈরি হয়।
দীর্ঘ সময় বসে থাকা : গবেষণায় উঠে এসেছে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোক তার জীবনের ৫০-৭০ ভাগ সময় বসে কাটায়। দীর্ঘ সময় বসার ফলে কোমর অর্থাৎ লাম্বারের লোরডোটিক কার্ভ কমে যায়, মেরুদণ্ডে সেন্টার অফ গ্রাভেটি পরিবর্তন হয়। ফলে স্পাইনের ওপর চাপ পড়ে। স্পাইনের ওপর চাপ পড়ায় ডিক্সে চাপ পড়ে এবং কোমর ব্যথা হয় ।
সঠিকভাবে ব্যায়াম না করা : অনেকেই না জেনে বিভিন্ন ভঙ্গিতে ব্যায়াম করি। জানি না কোন পদ্ধতি সঠিক আর কোন পদ্ধতি বেঠিক। এ জন্য কোনো ব্যায়াম করার আগে একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎকের পরামর্শ নিতে হবে।