Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২২ বুধবার, মে ২০২৪ | ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘সড়ক-পরিবহন নিয়ে যারা কাজ করছে দুর্ঘটনার জন্য তারাই দায়ী’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০১৯, ০৩:৫৪ PM
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৯, ০৩:৫৭ PM

bdmorning Image Preview


আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, একের পর এক মানুষ নিহত হচ্ছে সড়কে। ক্যাবিনেটে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমি যখন মন্ত্রী ছিলাম তখন কাজ করেছি। প্রধানমন্ত্রীও নির্দেশ দিয়েছেন, পার্লামেন্টে আলোচনা হয়েছে। কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।

শনিবার (২৩ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্মরণসভা ও চলমান রাজনীতি নিয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

নাসিম বলেন, প্রশাসনকে বলা হয়েছে, সড়ক পরিবহন সেক্টরকে বলা হয়েছে, এমনকি পুলিশসহ সব আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে বলা হয়েছিল সেগুলো বাস্তবায়ন করতে। তাহলে কেন সেগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে না?

তিনি আরও বলেন, এরা কারা? এসব ক্ষমতাধর ব্যক্তি কারা? তারা পরিবহন সেক্টরে, হয়তো শ্রমিক নেতা অথবা বাসমালিক অথবা প্রশাসনের লোক। কেন এগুলো বাস্তবায়ন হয় না? বাস্তবায়ন হবে না, একটা করে জীবন যাবে রাস্তায় আর সরকার দায়ী হবে? এটা কথা হলো? একটা জীবনের দাম কি ১০ লাখ টাকা? একটা জীবন কি অর্থের বিনিময়ে বিক্রি হয়ে যাবে? 

কেন এ ব্যবস্থাপনা সঠিক হবে না? যারা এ ব্যাপারে কাজ করে তারা সবাইকে দায়ী করে নাসিম বলেন, কেন তারা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়ন করছে না? আমি জিজ্ঞাসা করি। এসব ফ্রাঙ্কেনস্টাইনকে রুখতে হবে। এসব ফ্রাঙ্কেনস্টাইন শেখ হাসিনার অর্জনকে নষ্ট করে দেবে।

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, কিছু দায়িত্বহীন পথচারী আছেন, যারা ট্রাফিক আইন মানেন না। পুলিশ কমিশনার গতকাল বলেছেন, আমরা কঠোর হব। কঠোর হন নাই কেন এখনও? কবে আর কঠোর হবেন আপনারা? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, কেন এগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে না, বলেন? এ ধরনের কথা আমরা আর শুনতে চাই না।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেন, সেই নির্দেশ বাস্তবায়ন হয় না। উনি চেষ্টা করছেন, আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। তার নির্দেশ না মানা ফ্যাশন হয়ে গেছে।

আওয়ামী লীগের এ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে, আমি নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই। প্রশাসনকে দিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের চেষ্টা করে যাচ্ছে তারা। কিন্তু অতি উৎসাহী প্রশাসনের কর্মকর্তারা, তারা মাঠপর্যায়ে থেকে এ নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাকে খাটো করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। ছোট ছোট লাট আছে বিভিন্ন জায়গায়, তারা প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে বেশি ক্ষমতাবান মনে করে নিজেকে। স্থানীয় পর্যায়ে এসব ছোট ছোট লাট উপজেলা নির্বাচনে তার প্রার্থীকে জেতানোর জন্য এমন কোনো কাজ নেই যেটা তারা করে না। এটা হতে পারে না।

নির্বাচন কমিশন শক্ত আছেন। প্রশাসনকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে নির্দেশ দিয়েছেন, উপজেলা নির্বাচন হবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। জনগণ যাকে ভোট দেয়, সেই নির্বাচিত হবেন। তাহলে এসব তথাকথিত ক্ষমতাধর ব্যক্তি কারা? যারা প্রভাব বিস্তার করে নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চায়, তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে।

নাসিম বলেন, নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করব, আপনারা ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। এ ধরনের কোনো কারচুপির চেষ্টা যেন না হয়, দেখবেন। নির্বাচনে ভোটারদের ভোট দিতে হবে। ভোটার আসতে হবে। এখন আস্তে আস্তে ভোটাররা আসছে। সেই বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচন বর্জনের সংস্কৃতি উপেক্ষা করে মানুষ এখন আসছে। এটাকে সফল করতে হবে আমাদের।

এসময় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, মোজাফফর হোসেন পল্টু প্রমুখ। 

Bootstrap Image Preview