নির্বাচন অফিস ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৬ উপজেলার মধ্যে তৃত্বীয় ধাপে ভোট অনুষ্ঠিত হবে ঝিনাইদহ সদর, শৈলকুপা, হরিনাকুন্ডু ও কালীগঞ্জ উপজেলায়। এতে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এরমধ্যে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইতোমধ্যেই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ঠান্ডু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজনের মধ্যে সিমা খাতুন তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। যদিও বেলট পেপারে তার প্রতিক থাকবে। ফলে এ উপজেলায় শুধু ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসাবে মাঠে রয়েছে উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি শিবলী নোমানি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান মতি।
বাকি তিন উপজেলা পরিষদের মধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যড. অব্দুর রশীদ। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে রয়েছে সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জেএম রশিদুল আলম। দলীয়ভাবে বিদ্রোহী তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে রয়েছেন।
হরিণাকুন্ডু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রাথী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মশিউর রহমান জোয়ার্দার। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে রয়েছে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসাইন। মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে রয়েছেন। এছাড়া ভোটের মাঠে রয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সদস্য নাসিমা আক্তার মায়া।
এছাড়া শৈলকুপা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়্যারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নায়েব আলী জোয়ার্দার। তাকে চ্যালেঞ্জ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান শিকদার মোশারফ হোসেন সোনা। বিদ্রোহী প্রাথী মাঠে থাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কোন্দল প্রকাশ্যে রুপ নিয়েছে। বর্তমান এই চেয়ারম্যান ভোটের মাঠে থাকায় নৌকার প্রার্থী চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন বলে সাধারন ভোটাররা জানিয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম আবদুল হাকিম আহমেদ জানান, কিছুটা কোন্দলের কারণে দলীয় প্রার্থীর বিপরীতে একজন বা একাধিক প্রার্থী ভোটের মাঠে থাকলেও হাইকমান্ডের কোন বিধিনিষেধ না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বরং নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বীপূর্ণ করার জন্যই তাদেরকে ভোটের মাঠে নামানো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তবে এসব বিদ্রোহী প্রার্থীরা মাঠে থাকায় নির্বাচন উৎসবমূখর হবে বলেও দাবি করেন এই জেলা আওয়ামী লীগ নেতা।