নরসিংদীর চিনিশপুরে শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রী অদিতি সাহা ও তার প্রেমিক তামজিদ মিলে সুজন সাহা (৩৪)কে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে মাননবন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে তার স্ত্রী অদিতি সাহা ও তার প্রেমিক তামজিদকে গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানানো হয়েছে।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার চিনিশপুর কালীবাড়ির কাছে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুজন সাহা (৩৪) ঢাকা পীরেরবাগ এলাকার বিমল সাহার ছেলে। স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে দাবি করে এর বিচার দাবি করে মানববন্ধন করেছে ঢাকার মিরপুরের এলাকাবাসী।
প্রায় পাঁচ মাস আগে নরসিংদীর রাজাদী এলাকার কাশীনাথ সাহার মেয়ে অদিতি সাহাকে বিয়ে করেন সুজন। বিয়ের পর থেকেই অদিতি শাশুড়ির মোবাইল ফোন নিয়ে সবার আড়ালে গিয়ে কথা বলেন। এরপর সুজন স্ত্রীকে ১৫ হাজার টাকায় একটি মোবাইল সেট কিনে দিলে বাথরুমে ঢুকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলেন অদিতি। এতে বাড়ির সবাই বিরক্ত হয়ে তার কাছ থেকে মোবাইল সেট নিয়ে যান। ফলে স্বামী-শাশুড়ির সঙ্গে মনোমালিন্য হয় তার। ১৬ আগস্ট অদিতি নিজের গয়না ও কাপড়-চোপড় নিয়ে মনসাপূজার নাম করে বাবার বাড়ির উদ্দেশে বেরিয়ে আসেন। পরে বাধ্য হয়ে সুজন তাকে নিয়ে অদিতির বাবার বাড়ি আসেন। রাতে ট্রেন থেকে নেমে সাড়ে ১১টার দিকে রিকশাযোগে রাজাদী যাওয়ার পথে চিনিশপুর কালীবাড়ির অদূরে কিছু দুর্বৃত্ত তাদের পথরোধ করে। তারা অদিতিকে ছেড়ে দিয়ে সুজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। তার চিৎকারে পথচারী ও পাশের কালীবাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে সুজনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।