মোটরসাইকেল নিয়ে বিরোধের জেরে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্র খুন হয়েছেন। নিহত ছাত্রের নাম ইয়াছিন আরাফাত।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) এ ঘটনায় বাদি হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতে দেওয়া অভিযোগপত্রে বন্ধু অমিতসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়। অমিতের চার সহযোগী হলেন হারুন রশিদ, মো. হৃদয়, আবু বক্কর ও মো. তারেক। চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজকেন্দ্রিক ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে তাঁরা জড়িত।
জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরের ব্যস্ততম রিয়াজউদ্দিন বাজারের আমতল এলাকায় দিনদুপুরে কলেজছাত্র ইয়াছিন আরাফাতকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। ঘটনার শুরু থেকে মামলাটি তদন্ত করেন কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক হারুন অর রশিদ।
আদালতে দেওয়া এ মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ঘটনার ১৫ দিন আগে ইয়াছিনের মোটরসাইকেলটি জোর করে কেড়ে নেন অমিত। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে সিটি কলেজের এক বড় ভাইয়ের মাধ্যমে সমঝোতায় হারুন, হৃদয়, বক্কর ও তারেক ৫০ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হন। বৈঠক শেষে ইয়াছিন বাসায় যাওয়ার পথে আমতল এলাকায় তাঁকে ছুরি মারেন হারুনসহ অন্য আসামিরা। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। কয়েকজনের হাতে অস্ত্রও ছিল। তবে অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি।
অমিত সমন্ধে কোতোয়ালি থানার পুলিশ সুপার বলেন,অমিতের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজির ১৫টি মামলা রয়েছে। পূর্বাঞ্চল রেলের কোটি টাকার দরপত্র নিয়ে জোড়া খুনের মামলার আসামিও তিনি। কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী ওরফে বাবরের অনুসারী অমিত।
নিহত ইয়াছিনের মা রোকেয়া বেগম বলেন, ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল তাঁর। যাতে আর কোনো মায়ের স্বপ্ন ভেঙে না যায়। আসামিদের চরম শাস্তিও চান তিনি।