হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পশ্চিম নুরপুর গ্রামের রুহেনা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ মর্গে প্ররণ করে। ঘটনার পর থেকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। নিহত রুহেনা আক্তার ওই গ্রামের গাড়ি চালক মানিক মিয়ার স্ত্রী।
এদিকে রুহেনার পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৮ বছর পূর্বে শায়েন্তাগঞ্জ পৌরসভার চরমু আহমদ এলাকার মৃত জমির আলীর মেয়ে রুহেনা আক্তারের সাথে বিয়ে হয় উপজেলার নূরপুর গ্রামের মসকুদ আলীর ছেলে মানিক মিয়া সাথে। বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পরিবারের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। প্রায়ই মানিক মিয়া রুহেনাকে মারপিট করত বলেও স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান।
স্বামীর নির্যাতনে এক পর্যায়ে রুহেনা বাবার বাড়ি চলে যায়। সেখানে গিয়ে সে স্বামী মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করে। এ মামলায় মানিক মিয়া হাজতবাস করেন। কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দুই পরিবারের আলোচনার মাধ্যমে রুহেনা আবার তার স্বামীর বাড়িতে যান।
এদিকে ঘটনার দিন শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে এলাকাবাসী রান্না ঘরের তীরের সাথে রুহেনার লাশ ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করে।
শয়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।