Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৮ বুধবার, মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

অসুস্থ মাকে দেখতে গ্রামের বাড়িতে কোটা আন্দোলনের নেতা রাশেদ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০১৯, ০৫:৪১ PM
আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৯, ০৫:৪৩ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


ছেলেকে হত্যার হুমকির পর অসুস্থ হয়ে পড়া মাকে দেখতে তার ঝিনাইদহের মুরারিদাহ গ্রামের বাড়িতে গিয়েছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ (কোটা সংস্কার আন্দোলন) পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে তিনি সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই নির্বাচনে তাদের প্যানেলের নুর হোসেন নুর ভিপি পদে বিজয়ী হন। তবে তারাসহ মোট পাঁচ প্যানেল অনিয়মের অভিযোগ এনে পুনর্নির্বাচন দাবি করে। এ নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে রাশেদ খানকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

এ খবর জানার সঙ্গে সঙ্গে রাশেদ খানের মা সালেহা বেগম জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ শহরের ইসলামিয়া প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসা শেষে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।

রাশেদ খানের বাবা নবাই বিশ্বাস জানান, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় দুই অজ্ঞাত ব্যক্তি মোটরসাইকেলে ঝিনাইদহ শহরের চরমুরাড়ীদহ গ্রামে তার বাড়ি গিয়ে এ হুমকি দেন।

এ ব্যাপারে রাশেদ খান জানান, তারা তার বাবাকে হুমকি দিয়ে বলেন, রাশেদ আন্দোলন করছে এবং সরকার বিরোধী কথা-বার্তা বলছে। তাকে শেষবারের মতো সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে। এরপর সে এসব কাজে জড়িত থাকলে তাকে মেরে ফেলা হবে। এরপর বৃহস্পতিবার সকালেই বাড়ি পৌঁছান রাশেদ।

রাশেদের বাবা পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। মা গৃহিণী, বড় বোন রূপা খাতুন কালিগঞ্জের সিংদাহ গ্রামের জাহাঙ্গির আলমের স্ত্রী। ছোট বোন সোনিয়া খাতুন ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজে ম্যানেজমেন্টে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

জানা যায়, রাশেদের পরিবারে পাঁচ সদস্য। তারা হলেন, বাবা নবাই বিশ্বাস, মা সালেহা বেগম, বোন রূপা খাতুন, সোনিয়া ও রাশেদ খান।

ঝিনাইদহ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান খান জানান, মৌখিকভাবে ঘটনাটি শুনেছি। কারা রাশেদ খানের বাড়িতে গিয়েছিল সেটি উদ্‌ঘাটনে জোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

Bootstrap Image Preview