Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কোরিয়া, ভারত আর জাপানের ওষুধ তৈরি হতো গাজীপুরের একটি বাড়িতে!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০১৯, ০৮:১৬ PM
আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৯, ০৮:১৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


গাজীপুরে প্রায় তিন কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ ভেজাল ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে। ওষুধগুলো ‘কোরিয়া, ভারত, জাপানের ওষুধ’ বলে বিক্রি করা হত। এসব তথ্য জানান গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা বিভাগ) ড. রুহুল আমিন সরকার।

বুধবার সকালে গাজীপুর মহানগরীর হাতিয়াব এলাকায় একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এসব ভেজাল ওষুধ উদ্ধার করে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় ওই বাড়ি থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে।

আটকরা হলেন- নেত্রকোনার দুর্গাপুর সদরের রনজিতের ছেলে সুজন (২২), বনগাঁও গ্রামের মনেশ সাংমের ছেলে দ্বিপক রেসা (৪৯), শেরপুরের শ্রীবর্দী থানার হারীয়াকোনা গ্রামের রথিন্দ্র সিরানের ছেলে রাজিউস (২২) ও পাবনা সদরের দিলালপুর গ্রামের মো. আবু তালেবের ছেলে সুলতান মাহমুদ (২৫)।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা বিভাগ) ড. রুহুল আমিন সরকার জানান, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে গরু, হাঁস, মুরগি, মাছ উৎপাদনে কৃত্রিম ভিটামিন ও অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে গোখাদ্য, বিভিন্ন প্রকার টিকা, ভ্যাকসিন, ভিটামিন, প্রোটিন, সিপ্নোসিন, অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করে তা বাজারজাত করছিল। এসব ওষুধে ইউএসএ, কোরিয়া, ভারত, জাপানসহ বিভিন্ন দেশের নাম ব্যবহার করে বাজারে বিক্রি করে আসছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় তিন কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন ভেজাল ওষুধ ও ওষুধ তৈরির বিভিন্ন উপকরণ উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, ওই চক্রটি উইলট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির কাগজপত্র দেখায়। তাতে দেখা গেছে কোম্পানির ঠিকানা ঢাকা, পান্থপথ। কিন্তু মেয়াদোত্তীর্ণ কেমিক্যাল দিয়ে তারা গাজীপুরে গরু মোটা তাজাকরণের ইনজেকশন বানায়। তারা পুরান ঢাকা থেকে বিভিন্ন কেমিক্যালের বোতল এনে নকল সলিউশন তৈরি করে ৫০০ এমএল বোতল নিজেরাই প্রস্তুত করে এবং মেইড ইন কোরিয়া লিখে বাজারজাত করে। এসব ভেজাল ওষুধ ও ভিটামিন জাতীয় উপাদান তাদের নিজস্ব বোতলে বাজারজাত করার সময় কোরিয়া, ইউএসএ, ইন্ডিয়া এসব দেশের লেভেল লাগানো হয়। সিপ্রোসিন জাতীয় ইনজেকশন তারা নিজেরাই উৎপাদন ও বাজারজাত করে থাকে। তারা কোরিয়ান কোম্পানি ডো ওয়ান-এর লেভেল লাগিয়ে কোরিয়ান খাবার হিসেবে সারাদেশের মৎস্য ও পোল্ট্রি খামারে বিক্রি করে আসছিল। আর এসব কেমিক্যাল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসত বাড়িতে রাখা হয়েছিল।

Bootstrap Image Preview