Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৩ সোমবার, মে ২০২৪ | ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিএনপির ভরসার প্রতীক ঐক্যফ্রন্ট

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০১৯, ০২:০৯ PM
আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৯, ০২:০৯ PM

bdmorning Image Preview


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে টেক্কা দিতে গণফোরামের নেতৃত্বে বিএনপি, জেএসডি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ে গঠন করা হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এর নেতৃত্বে রয়েছেন আওয়ামী লীগের এক সময়ের নেতা ড. কামাল হোসেন। বর্তমানে এই ঐক্যফ্রন্টের ওপর বিএনপি অতিমাত্রায় নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ করছেন দলটির একাধিক নেতা।

জানা গেছে, নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দাবিতে ফের রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ে তুলতে বাম-ডানসহ সরকারবিরোধী সব রাজনৈতিক দল নিয়ে বৃহৎ মোর্চা গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এরই মধ্যে ফ্রন্ট নেতারা দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা শুরু করেছেন। রোজার মধ্যেই এ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর বেশ কয়েকটি বাম রাজনৈতিক দল এবং একাধিক ইসলামী দল রাজপথে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার কথা বলেছিল। মূলত এসব দল এ ফ্রন্টে যোগ দিতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। আর এর পেছনে কাজ করে যাচ্ছেন বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের অন্য শরিক দলগুলোর নেতারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক নেতা বলেন, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কারাগারে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান বিদেশে রয়েছেন। নিয়মানুসারে এখন মূল নেতৃত্বে রয়েছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু তিনি এখন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। সব সিদ্ধান্ত আসে ঐক্যফ্রন্ট থেকে। এটা বিএনপির মতো একটা বড় দলের জন্য শুভকর নয়। তাদের অভিযোগ ড. কামাল, মাহমুদুর রহমান মান্না, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ও আ স ম আবদুর রব অনেক বড় নেতা।

ফ্রন্ট নেতারা বলেন, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ক্ষমতাসীনদের বাইরের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। ফ্রন্টকে শক্তিশালী করার কাজ এগিয়ে চলছে।

এ ব্যাপারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বৃহত্তর স্বার্থে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন হয়েছে। প্রয়োজন পড়লে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পরিধি আরো বাড়তে পারে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা যে গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখেছিলাম,সেই স্বপ্নের মৃত্যু ঘটেছে। তবে এতে আমরা আশাহত নই। যেসব দল গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চায়,তাদের সকলের সঙ্গে আমরা আলোচনা করব।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির এক নেতা বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে ভবিষ্যতে কোনো আন্দোলন গড়ে উঠলে তখন ঐক্য হতেই পারে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সব আসনে হাতপাখা প্রতীকে প্রার্থী ছিল ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের। সারাদেশে দলটির নেটওয়ার্ক রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের দাবিতে তারা আন্দোলনে রয়েছেন।

বিএনপির শীর্ষ এক নেতা বলেন, রমজানের মধ্যেই নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে নতুন প্রস্তাবনা দেয়া হতে পারে। তারা আশা করছেন, সরকার মেয়াদ পূরণের আগেই সব রাজনৈতিক দলের দাবি মেনে নিয়ে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে।

অন্যদিকে সোমবার ঐক্যফ্রন্ট স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে নতুন কর্মপন্থা নিয়ে আলোচনা হয়। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন নিয়ে আরো কী কী ধরণের পদক্ষেপ নেয়া যায় তা নিয়েও সিদ্ধান্ত হয়। বিগত দিনগুলোতে বিএনপি স্থায়ী কমিটির বৈঠকও নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়ে আসছে। বৈঠকে দলের কারাবন্দি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নতুন কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনা হয়।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন  বলেন, ঐক্যফ্রন্টের একমাত্র ভরসা রাষ্ট্রের জনগণ। আমরা আশা দেখছি আমরা পরিবর্তন আনতে পারব। আমরা সারা জীবন স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। সব সময় স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বিজয়ী হয়েছি। বাংলার মানুষ কখনো বন্দুকের কাছে মাথা নত করেনি, আগামীতেও করবে না।

Bootstrap Image Preview