Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

অবশেষে বন্ধ হলো বাবার লাশের সন্ধানে সন্তানের ছোটাছুটি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০১৯, ০৯:২৭ PM
আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৯, ০৯:২৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


দিনের পর দিন বাবার লাশ খুঁজে বেড়ানোর অবসান হলো সন্তান সোহরাব হোসেনের। চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে নিখোঁজ সোরাবের বাবা হাজি ইসমাইলের পরিচয় শনাক্ত করেছে সিআইডি।

আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি শেখ হিমায়েত হোসেন বিষয়টি জানিয়েছেন।

ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার পর প্রথম ধাপে ১১টি মরদেহের পরিচয় মেলে। আর আজ দ্বিতীয় ধাপে আরও পাঁচটি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।

শেখ হিমায়েত হোসেন বলেন, 'মর্গে ৬৮টি মরদেহের ব্যাগ পায় সিআইডি। এর মধ্যে ৪৮টি মরদেহ পরিবারের সদস্যরা শনাক্ত করায় তা হস্তান্তর করা হয়। প্রথম ধাপে ১১টি মরদেহের পরিচয় মেলেছিল। আজ আরও পাঁচটি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। শনাক্ত হওয়া মরদেহগুলো হলো, হাজি ইসমাইল, ফয়সাল সারওয়ার, রেনুমা তাবাসসুম দোলা, মোস্তফা ও মো. জাফর'।

চকবাজারে নিহত হাজি ইসমাইল হোসেনের ছেলে সোহরাব হোসেনও মরদেহ শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০ ফেব্রয়ারি রাতে আগুন লাগার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হাজি ইসমাইলের মোবাইলে ফোন করতে শুরু করেন সোহরাব ও তার পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু তখন থেকেই তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে অনেক আশা নিয়ে প্রথমে সোহরাব, তার দুই বোন ও পরিবারের অন্য সদস্যরা ভেবেছিলেন হয়তোবা ইসমাইলকে আহতবস্থায় হলেও পাওয়া যাবে। কিন্তু ঢাকা মেডিকেলসহ অন্যান্য হাসপাতালে খুঁজেও যখন আহতদের মধ্যে তার সন্ধান মেলেনি। তখন অন্তত ইসমাইলের লাশটি পাওয়ার আশায় ছোটাছুটি করছেনে তারা। এরপর পুড়ে যাওয়া মরদেহগুলো থেকে বাবার লাশ শনাক্ত করতে হাসপাতালে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য গিয়েছিলেন সোহরাব। অবশেষে আজ তার বাবার মরদেহ শনাক্তকরণ শেষে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে গত ৬ মার্চ প্রথম ধাপে শনাক্ত হওয়া ১১টি মরদেহ ছিল ফাতেমাতুজ জোহরা, সালেহ আহমেদ, মো. ইব্রাহীম, মো. এনামুল হক, তানজীল হাসান, নাসরিন জাহান, মো. শাহীন আহমেদ, হাসান উল্লাহ, দুলাল কর্মকার, নুরুজ্জামান, নুরুল হকের।

Bootstrap Image Preview