অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় ফেল করায় রাজধানীর ভিকারুন নেছা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী স্বর্ণা আক্তার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এরপর তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখে পুলিশ।
স্বর্ণা ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিজ্ঞান বিভাগের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তিনি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সেলিম হোসেনের মেয়ে। তারা রমনা মডেল থানার সিদ্ধেশ্বরীর খন্দকার রোডের ২৮/২৯ নম্বর বাড়ি দশতলা ভবনের ছয়তলায় থাকতেন।
স্বর্ণার মা সানোয়ার বেগম জানান, সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে তার মেয়ে নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। তবে কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন, সে ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত কিছু বলতে পারেননি।
পরিবারের সদস্যরা জানান, স্বর্ণাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখে তার রুমের দরজা ভেঙে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা স্বর্ণাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বর্ণ পরিবারের বড় সন্তান। তার ছোট একটি বোন রয়েছে। সেও এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করে। তারা বাবা ব্যবসায়ী ও মা গৃহিণী। তার অকাল মৃত্যুতে পরিবারে সবার মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বর্ণাকে নিজ জেলায় দাফন করতে মাদারীপুর নিয়ে যাওয়া হয় বলেও জানানো হয়।
স্বর্ণা খুব শান্ত মেজাজের মেয়ে ছিল। তার এমন মৃত্যুতে কলেজের সহপাঠী ও শিক্ষকদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পাশাপাশি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তারা।
রমনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাঈনুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালের আমাদের পুলিশ সদস্যরা গেছেন। তবে তার আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে আমরা এখন কিছুই জানি না।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩ ডিসেম্বর নিজের সামনে বাবাকে অপমান সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়েছিল রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ভিকারুননিসা স্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রি অধিকারী।