৬ দিন পার হলেও শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের হ্যাকড হওয়া ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি উদ্ধার হয়নি।
এর আগে গতকাল শুক্রবার নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক ভিডিও-বার্তায় মন্ত্রী তার ভেরিফায়েড প্রোফাইল থেকে প্রকাশিত কোনো বক্তব্যে নাগরিকদের বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। হ্যাকড অ্যাকাউন্ট থেকে হ্যাকাররা অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো পোস্ট প্রকাশ করতে পারে। ভিডিওতে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিদেশে ছিলাম কয়েকদিন। এসে জানতে পারলাম যে, আমার ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইল হ্যাক হয়েছে। এ জন্য আমি জিডি করেছি। সাইবার উইং কাজ করছে। এ ব্যাপারে কেউ যেন বিভ্রান্ত না হয় সে কারণে সবাইকে আমি জ্ঞাত করছি। আমার অ্যাকাউন্ট থেকে করা কোনো মন্তব্য আমার মন্তব্য হিসেবে ধরা যাবে না।’
গত ৩ মার্চ অ্যাকাউন্টটি হ্যাকড হওয়ার পরদিন অর্থাৎ ৪ মার্চ গুলশান থানায় একটি জিডি করা হয়। তারপর থেকেই পুলিশ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে।
গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. খোরশেদ আলম জানিয়েছিলেন, শিল্পমন্ত্রীর ফেসবুক প্রোফাইলটি পরিচালনা করেন আতিকুল ইসলাম। ৪ মার্চ গুলশান থানায় তিনি একটি জিডি করেছেন। জিডি নম্বর ২৫৩। জিডিতে আতিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ৩ মার্চ শিল্পমন্ত্রী ফেসবুক প্রোফাইলটি দুষ্কৃতকারীরা হ্যাক করে। এই প্রোফাইল থেকে কোনো বক্তব্য প্রকাশ হলে, তার দায় মন্ত্রীর না।
মন্ত্রীর হ্যাকড প্রোফাইল থেকে ৭ মার্চ একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। সেখানে বল হয়, ‘গত ২১ ফেব্রুয়ারির চকবাজার ট্র্যাজেডির অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে আমার বিতর্কিত মন্তব্যের জন্যে জাতির কাছে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপার্থী। নিজ ভুল স্বীকার করা প্রতিটা মানুষেরই উচিৎ বলে মনে করি। এতে মানুষে মানুষে সোহার্দ্য ও আন্তরিকতা বৃদ্ধি পায়। আসুন আমরা সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সকলে মিলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু!’
প্রসঙ্গত, চকবাজারে ওয়াহেদ ম্যানশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। পরিদর্শনের পর তিনি ওই ভবনে কোনো কেমিক্যালের অস্থিত্ব নেই বলে মন্তব্য করেছিলেন। তার এ বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়।