Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৭ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘মেনন মারা গেলে জানাজা হবে না’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ মার্চ ২০১৯, ০৭:১৯ PM
আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৯, ০৭:১৯ PM

bdmorning Image Preview


হেফাজত মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, শাহরিয়ার কবিরসহ মেননের মতো আরও যারা নাস্তিক রয়েছে, তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। মেননকে সংসদ থেকে বের করা না হলে ওলামায়ে কেরাম ও ইসলামি জনতা কঠোর অবস্থানে যাবে। রাশেদ খান মেনন মারা গেলে তার জানাজা হবে না ও মুসলমানের কবরস্থানে দাফন করা যাবে না। মেনন-ইনুদেরকে এ দেশের মাটি গ্রহণ করবে না।

আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে কথা বলেন তিনি।

এ সময় সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননকে সংসদ থেকে বের করা না হলে আলেমরা কঠোর অবস্থানে যাবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা এবং রাশেদ খান মেননের কওমি মাদ্রাসা নিয়ে কটূক্তিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বাবুনগরী বলেন, কাদিয়ানীরা কাফের, তাদের যারা কাফের মনে করে না তারাও কাফের। রাশেদ খান মেনন তাদের পক্ষ নিয়ে কওমি মাদ্রাসা, হেফাজতে ইসলাম ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে ধৃষ্টতাপূর্ণ কথা বলেছে, তারাও তাদের দলের অন্তর্ভুক্ত। এ দেশে কওমি মাদ্রাসা সাধারণ মুসলমানদের দ্বীনের বিশাল অবদান রেখে যাচ্ছে। দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে এবং অন্যায়মুক্ত দেশ গড়তে অবদান রাখছে আলেমরা। তাদের নিয়ে ধৃষ্টতা দেখানো সাহস তারা কীভাবে পায়। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা তার বক্তব্য ফিরিয়ে নেয়ার অনুরোধ করছি। না হলে এ দেশের তাওহিদি জনতা তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।

তিনি বলেন, কাদিয়ানীরা ইসলামি পরিভাষা ব্যবহার করতে পারবে না। তারা তাদের ইবাদত খানাকে মসজিদ বলতে পারবে না। এ দেশে হিন্দু, খ্রিস্টান বৌদ্ধরা তাদের ধর্ম নিয়ে নিরাপদে আছে। কাদিয়ানীরাও আলাদা ধর্ম হিসেবে থাকবে। কিন্তু মুসলিম হিসেবে থাকতে পারবে না। আকিদায়ে খতমে নবুওয়াত রক্ষা করতে বুকের তাজা রক্ত দিতে হলেও আমরা দেব।

অনুষ্ঠানে বক্তারা রাশেদ খান মেননের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন। ইসলাম ও ওলামাবিদ্বেষী মেনন ও ইনুদের এবারের মন্ত্রিপরিষদে না রাখায় সরকারকে স্বাগত জানানো হয় সমাবেশ থেকে।

প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর শাহ আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলে হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

Bootstrap Image Preview