Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ শনিবার, মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রূপগঞ্জে ডাইং কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ, তিতাস গ্যাস হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা

লিখন রাজ, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ০৪ মার্চ ২০১৯, ০৩:২৬ PM
আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৯, ০৩:২৬ PM

bdmorning Image Preview


তিতাস গ্যাস কোম্পানীর কর্মকর্তাদের যোগসাজশে রূপগঞ্জে ৩০টি ডাইং কারখানায় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগে কোম্পানী প্রতিবছর হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। কোম্পানীর কর্মকর্তাদের প্রতিরোধ না করার কারণে কারখানাগুলোতে অবৈধ গ্যাস ব্যবহার হচ্ছে। কতৃপক্ষও রয়েছে নিরব।

স্থানীয়দের অভিযোগ তিতাসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা, সরকার দলীয় নেতা ও পুলিশকে ম্যানেজ করে ওই অবৈধ কারখানার মালিক এলাকায় মোট ৩০টি ডাইং কারখানায় গড়ে তুলেছে। এরা দিন রাত সমানে গ্যাস ব্যবহার করে আসছে। ফলে এক দিকে যেমন তিতাস গ্যাস কোম্পানী হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা।

অন্যদিকে ওই সকল এলাকার আবাসিক লাইনে সাধারণ ভোক্তারা পড়ছে গ্যাস সংকটে। দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে আবাসিক লাইনের ভোক্তারা। সমাজের গুটি কয়েক ব্যক্তিরা দিন দিন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে।

এ ধরনের ডাইং কারখানাগুলি হচ্ছে- উপজেলার গোলাকান্দাইল, কুমারটেক, আধুরীয়া, মাহনা, কেশরাব ও মঠখোলা এলাকায়।

এলাকা ঘুরে দেখা যায় ব্যবহারকারীদের মধ্যে রয়েছে- গোলাকান্দাইল এলাকায় জামান ডাইং, কুমারটেক এলাকার আলম, বাতেনের ছেলে বিল্লাল হোসেন, আরজু মিয়ার ছেলে সফিক, সিদ্দিকের ছেলে তোবারক, শাহজানের ছেলে রুহুল আমিন, সোনা মিয়া ছেলে হারুন, আব্দুল মতিনের ছেলে দেলোয়ার, কুটু মিয়ার ছেলে তোতা মিয়া, কেশরাব এলাকার দীন ইসলাম, বাবুল, মকবুল, নাসু মিয়া, মঠখোলা এলাকার সবুজ মিয়া, মাহনা এলাকার শাহিন, রফিক, মোবারক আধুরীয়া এলাকার রাসেল মিয়া, মনোরউদ্দিন সাবেক মেম্বারের ছেলে জাকির হোসেন।

এলাকাবাসী জানায়, মনরউদ্দিন মেম্বারের ছেলে জাকির হোসেন কয়েক বছরের মধ্যে ডাইং কারখানা দিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে। এই সকল ডাইং কারখানার মালিকরা গোপনে পুলিশকে মাসে মাসে টাকা দিয়ে কারখানাগুলো চালিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করে তিতাসের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি করছে বলে মন্তব্য করেন এলাকাবাসী।

স্থানীয়দের অভিযোগ গ্যাস কতৃপক্ষ এই অবৈধ গ্যাস সংযোগ বন্ধ করতে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। প্রশাসনও সংবাদ পেয়ে নিরব ভূমিকায়।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউসন কোম্পানীর কর্তব্যরত কর্তা ব্যক্তিরা বলেন, ডাইং কারখানায় অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের বিষয় লিখিত অভিযোগ আমাদের কাছে আশে নাই। তবে অভিযোগ পেলে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশের ইন্সেপেক্টর রফিকুল হক বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। অবৈধ গ্যাস সংযোগ বন্ধের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে সোচ্চার হতে হবে। অবৈধ গ্যাস বন্ধ করতে গ্যাস কতৃপক্ষকে আমরা সহযোগিতা করব। 


 

Bootstrap Image Preview