সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি: নরসিংদীর আব্দুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজের অধ্যক্ষসহ ১০ শিক্ষক পদত্যাগ করায় প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে কলেজের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষকদের স্ব-পদে পুনঃবহাল অথবা সব শিক্ষার্থীদেরকে ছাড়পত্র দেওয়ার দাবি জানায় কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা রাস্তায় আগুন জালিয়ে প্রতিবাদ করে।
কলেজের মালিক পক্ষের সঙ্গে মতবিরোধের জের ধরে কলেজের নয় শিক্ষক পদত্যাগ করেন। সেই ধারাবাহিকতায় কলেজের সভাপতি আব্দুল কাদির মোল্লার কাছে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ড. মশিউর রহমান পদত্যাগপত্র জমা দিলে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়।
ছাত্রছাত্রীরা এ সংবাদ শুনে হঠাৎই কলেজ থেকে বেরিয়ে এসে মহাসড়কে টায়ার পুড়িয়ে আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে।
এসময় উক্ত কলেজের ছাত্র তামীম আহমেদ বলেন, দীর্ঘদিন যাবত এই কলেজটি হওয়ার পর পরই অধ্যক্ষ মোঃ মশিউর রহমান মৃধা দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
আজ রবিবার বাড়ি থেকে বের হয়ে কলেজে আসার পর আমার শিক্ষকরা বলেন, এই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল কাদির মোল্লা তাকে পতদ্যাগ করতে বাধ্য করে বলে জানান।
তাই আমরা বাধ্য হয়ে কোন উপায় না পেয়ে এই মহাসড়কে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করছি ও মশিউর রহমানকে পূনরায় উক্ত পদে বহাল করার জোর দাবী জানাচ্ছি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, রাজনীতি মুক্ত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে আমরা পড়াশোনা করছি। হঠাৎ করে অধ্যক্ষসহ ১০ শিক্ষকের পদত্যাগ কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এ ঘটনার সঠিক নির্দেশনা ও শিক্ষকদের স্ব-পদে বহালের দাবিতে সড়কে নেমেছি।
এ সময় শিক্ষার্থীরা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও থার্মেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির মোল্লার উপস্থিত থেকে এ বিষয়ে সুনিদিষ্ট আশ্বাস দেয়ার কথা জানায়।
কলেজের আইসিটি বিভাগের শিক্ষক এস এম মনিরুল ইসলাম জানান, কলেজের অধ্যক্ষ ড. মশিউর রহমান মৃধা স্যারের হাত ধরেই কলেজটি সারা দেশে খ্যাতি অর্জন করেছে। তাই হঠাৎ স্যারের পদত্যাগ করায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীরা। তবে, কলেজের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো কথা না জানার কথা বলেন তিনি।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দু'পাশে অন্তত ৪০ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধে ক্ষিপ্ত হয়ে ট্রাকচালকরাও মহাসড়কে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়।
পুলিশ জানায়, কলেজের শিক্ষক পদত্যাগ সংক্রান্ত অভ্যন্তরীন একটি বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীরা হাঠাৎ করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে। আমরা তাদেরকে বুঝিয়ে অবরোধ তুলে নিতে অনুরোধ জানিয়েছি।