Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

চাকরির প্রলোভনে রিসোর্টে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণ

নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০২ মার্চ ২০১৯, ০৭:৫৩ PM
আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৯, ০৭:৫৯ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী


বড়াইগ্রাম উপজেলার মাঝগ্রাম এলাকার এক গৃহবধূকে চাকরির প্রলোভনে ৮ দিন ধরে একটি রিসোর্টে আটকে রেখে গণধর্ষণ করেছে চার বখাটে।

এ ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে ঐ গৃহবধূর ভগ্নিপতি। এর আগে গৃহবধূর কোন সন্ধান না পেয়ে তার স্বামী মাসুদের নাম উল্লেখ করে বড়াইগ্রাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছিলেন।

জানা যায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মাঝগ্রাম হাদিস মোড় এলাকার মালেক হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা ঐ গৃহবধূকে ঈশ্বরদী সরকারি ইক্ষু খামারে চাকরি দেয়ার কথা বলে নিয়ে যায়। পরে মাসুদ তাকে ইন্টারভিউ দেয়ার জন্য ঈশ্বরদীর পাকশী এলাকার মঞ্জুয়ার রিসোর্টে নেয়। সেখানে একটি কক্ষে ৮ দিন ধরে আটকে রেখে আরো তিন বন্ধুসহ চার জন মিলে তাকে ধর্ষণ করে।

এক পর্যায়ে ঐ গৃহবধূ সুযোগ পেয়ে কৌশলে রিসোর্ট থেকে পালিয়ে একই এলাকার এম এস কলোনীর একটি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে ঐ বাড়ির লোকজনের সহায়তায় তিনি চিকিৎসা শেষে নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। তবে নির্যাতিতা গৃহবধূ তার প্রতিবেশী মাসুদ রানার নাম বলতে পারলেও অন্যদের চিনতে না পারায় তাদের পরিচয় জানাতে পারেননি।

পাকশী এম এস কলোনীর খানকা শরিফপাড়া এলাকায় ঐ গৃহবধূকে আশ্রয় দেয়া ফাতেমা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন।

এ দিকে, অভিযুক্ত মাসুদের বাবা ও ভাইসহ কিছু গ্রাম্য প্রধানেরা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ঐ গৃহবধূ ও তার স্বজনদের ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছেন বলে তার বড় বোন জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে এব্যাপারে অভিযুক্ত ধর্ষক মাসুদের নিকট জানতে চাইলে তিনি ভুল করেছেন স্বীকার করে সংবাদ প্রকাশ না করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন।

শনিবার বড়াইগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক শামসুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।

Bootstrap Image Preview