Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রশ্ন ফাঁস করেই ৭০ লাখ টাকার মালিক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ মার্চ ২০১৯, ০৭:০৭ PM
আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৯, ০৭:০৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


যেকোন ভর্তি পরীক্ষা কিংবা চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করে ফাঁসকৃত প্রশ্নের উত্তর সরবরহকারী এক জালিয়াতকে আটক করেছে সিআইডি। মামুন মিয়া ওরফে মাহবুব মামুন নামের ওই জালিয়াতিকে গত মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত শাখা।

গ্রেফতারকৃত মামুন প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি স্বীকার করে শুক্রবার (১ মার্চ) আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছে। এই অনৈতিক কর্ম করে প্রায় ৭০ লাখ টাকা আয় করেছে বলেও আদালতকে জানায় সে।

সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, মামুন মিয়া ওরফে মাহবুব দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের গুরুত্বপূর্ণ হোতা ছিলেন। ২৪ বছর বয়সী মামুন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্ট্যামফোর্ডের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র। পড়াশোনা শেষ না হলেও অনৈতিক উপায়ে এরইমধ্যে প্রায় কোটি টাকা উপার্জন করেছে সে। মামুনসহ গত দেড় বছরে সিআইডি প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মোট ৪৭ জনকে গ্রেফতার করেছে।

সিআইডি জানায়, মামুন মিয়া এর আগে গ্রেফতার হওয়া চক্রটির দুই মূল হোতা ইব্রাহীম মোল্লা ও আইয়ুব আলী বাঁধনের প্রধান সহযোগী ছিলেন। গ্রেফতারের পর দু’দিনের পুলিশি হেফাজতে ডিজিটাল ডিভাইসের মধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁসের চাঞ্চল্যকর সব তথ্য দিয়েছে মামুন। শুক্রবার আদালতে নিজের অপরাধ স্বীকার করেও জবানবন্দি দেয় সে।

জিজ্ঞাসাবাদে মামুন জানিয়েছে, ২০১৬ সালে আইয়ুব আলী বাঁধনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তারা একই বাসায় থাকতেন। বাঁধনের মাধ্যমে ২০১৭ সালের শুরুর দিকে ইব্রাহীম মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ হয় মামুনের। এসময় তিনি প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রে জড়িয়ে পড়েন।

মামুন আরও জানিয়েছে, ২০১৬ ও ১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ এবং ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইস পদ্ধতিতে প্রশ্নফাঁস করে ৬ শিক্ষার্থীর ভর্তিতে সহায়তা করে সে। এছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরির পরীক্ষা, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, সোনালী ব্যাংক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, তিতাস গ্যাস, পরিবার পরিকল্পনা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে প্রায় ৭০ লাখ টাকা আয় হয়েছে। এরমধ্যে মূল চক্রান্তকারী ইব্রাহীম মোল্লাকে ৫৩ লাখ টাকা দিয়েছে মামুন।

জালিয়াতির এই কাজে ইব্রাহীম মোল্লার আরও কিছু সহযোগির নাম জানিয়েছে মামুন। তারা হলো- শহিদুল ইসলাম শহীদ, মিঠুন, ঢাকা কলেজের মহসিন, আজাদ মাহমুদ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফয়সাল, রবিউল ইসলাম রবি এবং জাহিদ হাসান জয়।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মূল হোতাদের পাশাপাশি এখন প্রধান প্রধান সহযোগিদেরও গ্রেফতার করা হচ্ছে। পুরো চক্রটিকেই আমরা চিহ্নিত করেছি। প্রশ্নফাঁস চক্রের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার প্রক্রিয়াও চলমান।’

Bootstrap Image Preview