ওআইসি’র রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের সভা ও ইন্টারন্যাশনাল পিস ইনস্টিটিউটের সংলাপে অংশ নিয়ে নিউইয়র্ক সফররত পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক রোহিঙ্গা সংকটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার (০১ মার্চ) তিনি এ আহ্বান জানান। শনিবার (০২ মার্চ) জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুষ্ঠান দু’টিতে পররাষ্ট্র সচিব রোহিঙ্গা সংকটের অতীত ও বর্তমান অবস্থা বিস্তারিত তুলে ধরেন।
ওআইসি’র সভায় দেওয়া ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র সচিব ঢাকায় অনুষ্ঠিত ওআইসি’র ৪৫তম ‘কাউন্সিল অব ফরেন মিনিস্টার’ এর সভায় মিয়ানমারে সৃষ্ট গণহত্যা ও সহিংসতাকে ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশন এর আওতায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচার করার ব্যবস্থা গ্রহণে গাম্বিয়ার নেতৃত্বে গঠিত কমিটির কথা উল্লেখ করেন।
রোহিঙ্গা সংকটের ফলে বাংলাদেশে কি ধরনের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়তে পারে- এমন এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই আশ্রয় ক্যাম্প আমাদের সংরক্ষিত বন ও বন্যপ্রাণী ধ্বংস করছে, এর ফলে পরিবেশের বিপর্যয় হচ্ছে। আমাদের একমাত্র সমুদ্র সৈকত সৌন্দর্য ও পর্যটক হারাচ্ছে; আর সবচেয়ে বড় কথা আমাদের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে এবং ঐ অঞ্চলের সামাজিক বিন্যাস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
রোহিঙ্গা সংকটের করণীয় বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে শহীদুল হক বলেন, আমরা দ্বি-পাক্ষিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছি। আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা আসিয়ানের সহায়তা চাইছি। ওআইসি এ বিষয়ে কাজ করছে। আর জাতিসংঘ ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বিষয়টির সমাধানের উপায় খুঁজে বের করা ও আলোচনা অব্যাহত রাখার সব প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে। রোহিঙ্গা সংকট ও এর সমাধান এবং ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তিরোধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সক্রিয় ও সহায়ক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান পররাষ্ট্র সচিব।
ওআইসি’র রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের সভাটি সঞ্চালন করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এবং ইন্টারন্যাশনাল পিস ইনস্টিটিউটের অংশগ্রহণমূলক সংলাপ অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সহ-সভাপতি ড. অ্যাডাম লুপেল।