Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৪ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শাহ আলমগীরের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের শোক প্রকাশ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৪:৩৫ PM
আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৪:৩৫ PM

bdmorning Image Preview


প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মো. শাহ আলমগীর আর নেই। (ইন্না লিল্লালি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজেউন)। বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

তিনি রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া, ডায়াবেটিসসহ নানা ধরনের রোগে ভুগছিলেন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তার চিকিৎসার জন্য সেখানে ছয় সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়েছিল।

তার মৃত্যুতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব গভীর শোক প্রকাশ করেছে। একই সাথে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন গভীর শোক জ্ঞাপন করেছেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সভাপতি অধ্যাপক আবু আহমেদে, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী।

গভীর শোক জ্ঞাপন করেন, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সামাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এম শাহীন গোলদার, অর্থ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল জলিল, দপ্তর সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, নির্বাহী সদস্য সেলিম রেজা মুকুল, গোলাম সরোয়ার, ইয়ারব হোসেন, জি.এম আদম শফিউল্লাহ ও কৃষ্ণ মোহন ব্যানার্জীসহ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দ।

শাহ আলমগীর ২০১৩ সালের ৭ জুলাই পিআইবির মহাপরিচালক হিসেবে যোগ দেন। সরকার ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তার চাকরির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়। উপমহাদেশের প্রথম শিশু-কিশোর পত্রিকা সাপ্তাহিক কিশোর বাংলায় যোগ দেওয়ার মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন এই সাংবাদিক। এখানে তিনি ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। এরপর তিনি কাজ করেন দৈনিক জনতা, বাংলার বাণী, আজাদ ও সংবাদ-এ। প্রথম আলো প্রকাশের সময় থেকেই তিনি পত্রিকাটির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং ১৯৯৮ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত যুগ্ম বার্তা-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি চ্যানেল আইয়ের প্রধান বার্তা সম্পাদক, একুশে টেলিভিশনে হেড অব নিউজ, যমুনা টেলিভিশনে পরিচালক (বার্তা) এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে বার্তা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শাহ আলমগীর ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ‘কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার ২০০৬, ‘চন্দ্রাবতী স্বর্ণপদক ২০০৫ ’, ‘রোটারি ঢাকা সাউথ ভকেশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০০৪’ এবং ‘কুমিল্লা যুব সমিতি অ্যাওয়ার্ড ২০০৪’ পেয়েছেন। শাহ আলমগীরের পৈতৃক বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে হলেও বাবার চাকরি সূত্রে বৃহত্তর ময়মনসিংহে জীবনের বড় একটি সময় কাটে। ময়মনসিংহের গৌরীপুর কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাংলা সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স করেন।

পারিবারিক জীবনে শাহ আলমগীর এক ছেলে ও মেয়ের জনক। তার স্ত্রী ফৌজিয়া বেগম একটি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত। ছেলে আশিকুল আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে বিবিএ পাস করে কর্র্মরত রয়েছেন এইচএসবিসি ব্যাংকে। মেয়ে অর্চি অনন্যা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিষয়ে অধ্যয়নরত।

Bootstrap Image Preview