বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে নরসিংদীতে শুরু হয়েছে অবিরাম বর্ষণ। মঙ্গলবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে এই অঝোর ধারা- যা আজ সারাদিনই অব্যাহত আছে।
এদিকে টানা বর্ষণের কারণে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বৃষ্টিতে নাকাল হতে হয়েছে বিশেষ প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া লোকজনকে। এই জেলার উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে বিভিন্ন এলাকার সড়কগুলোতে কিছুটা পানি লাগায় যানবাহন চলতে আংশিক পরিমাণ কম দেখা যাচ্ছে। কিন্তু প্রয়োজন না থাকায় ঘর থেকে বের হচ্ছে না দিন মজুর মানুষগণ।
এ দিকে রায়পুরা, বেলাব, মনোহরদী, শিবপুর, পলাশ সদর সহ চরাঞ্চলে বৃষ্টির পাশাপাশি প্রচণ্ড বাতাস বয়ে যাওয়ায় ফসলী জমিসহ ঘর-বাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আমলাবর ইউনিয়নে নদীর পাশে থাকা হাবী মেম্বারের বাড়ির ঘরের চাল উঠিয়ে নিয়ে নদীতে ফালায়। এই এলাকার বিভিন্ন স্থানে প্রচণ্ড ঝোড়ো বাতাস হওয়ায় ও শিলাবৃষ্টি হওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসহ ঘরের চালগুলো ফুটো ফুটো কানা হয়ে যায় বাড়ির পাশে থাকা গাছগুলো ঝড়ো বাতাসে উপড়িয়ে ফেলে দেয়।
আজ (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় প্রচণ্ড বেগে জোড়ো বাতাস হওয়ায় কৃষি জমিসহ বিভিন্ন ফসলাদী জমিতে পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
সড়কগুলোতে যানবাহন কিছুটা ধীরগতিতে চালাচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিবহন চালক মোঃ হোসেন আলী বলেন, শিলা বৃষ্টির কারণে আমাদের গাড়ির গতিটা কিছু কম দিয়ে চালাই। নতুবা যে কোন দুর্ঘটনা ঘটবে বলে আশঙ্কা করেন তিনি।
এ দিকে মরজাল এলাকায় কৃষক নাজিমুদ্দিন তার ফসলী জমিতে সিম পারতে গেলে প্রচণ্ড রকমে শিলাবৃষ্টি হওয়ায় ও তার মাথায় শিলা পড়ায় আহত হন। তাৎক্ষণিক তার পাশে থাকা আরেক কৃষক আফতাব উদ্দিন তার জমিতে পড়া দেখে তাকে উঠিয়ে নিয়ে মরজাল বাসস্ট্যান্ডে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে তাকে বাড়ি ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
দুই দিনব্যাপী প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টি অব্যাহত থাকায় দূর-দূরান্তে যাওয়া সাধারণ মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে ও ব্যবসায়ীরা দোকান-পাট খুলে একা বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে।