Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

হাতিয়ায় শৌচাগারের পাশে শহীদ মিনার, স্থানীয়দের ক্ষোভ

তাজুল ইসলাম তছলিম, হাতিয়া প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০২:১২ PM
আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০২:১২ PM

bdmorning Image Preview


নোয়াখালীর হাতিয়ায় কয়েক বছরের দাবির প্রেক্ষিতে উপজেলা সদর ওছখালীর প্রাণকেন্দ্রে ঐতিহ্যবাহী এ এম উচ্চ বিদ্যালয়ে শৌচাগারের পাশ ঘেঁষে নির্মিত হচ্ছে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতীক শহীদ মিনার।

শহীদদের প্রতিশ্রদ্ধা নিবেদনে শৌচাগারের পাশ ঘেঁষে নির্মাণাধীন এ শহীদ মিনারটি নিয়ে উল্টো স্থানীয়রা মাঝে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। ক্ষোভ থাকলেও শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ থেমে নেই।

স্থানীয়রা জানায়, মহান ভাষা আন্দোলনের ভাষা শহীদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদের স্মৃতিধারণ ও তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পবিত্র শহীদ মিনার নির্মাণ করা হচ্ছে শৌচাগারের পাশে। 

তারা অভিযোগ করে বলেন, এ এম উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি স্থানীয়দের মতামত উপক্ষো করে এবং কোনো নিয়ম না মেনে শহীদ মিনারটি নির্মাণ করছে। যা দেখলে উল্টো শহীদদেরকে অবমাননা করছে বলে শিক্ষার্থী ও যেকোনো ব্যক্তির কাছে মনে হবে। 

শহীদ মিনারটি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শৌচাগারের পাশ ঘেঁষে নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে শহীদ মিনারটির সৌন্দর্য্য ও পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া ভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস ও মহান বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনগণ একমাত্র এই শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসবেন। কিন্তু সেখানে শৌচাগারের দুর্গন্ধও সহ্য করতে হবে এবং সেখানে একটি অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি হবে।

শৌচােগারের পাশে শহীদ মিনার নির্মাণ না করার জন্য একাধিকবার স্থানীয় জনগণ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। উল্টো নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে।

এ এম উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আনম হাসান এ বিষয়ে জানান, বিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে এ শহীদ মিনার নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে আমি যতটুকু জানি নির্মাণের পর শহীদ মিনার সংলগ্ন শৌচাগারটি ভেঙে ফেলা হবে। এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভায় একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত বলতে পারবেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি।

শৌচাগার সরিয়ে নেওয়া বা ভেঙ্গে ফেলার বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রফেসর সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

শেষে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূরের এ আলমকেও মুঠোফোনে কল দিলে তিনিও কল রিসিভ করেন নি।  
 

Bootstrap Image Preview