বঙ্গোপসাগরে মুক্তিপণে মুক্তি মিলল অপহৃত ৫৭ জেলের

বঙ্গোপসাগরে ১৪টি মাছধরা ট্রলারসহ জলদস্যুদের হাতে অপহৃত ৫৭ জেলে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন। জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ট্রলারগুলো কক্সবাজার ৬ নম্বর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ঘাটসহ আশপাশে ঘাটে ফিরতে শুরু করে।

মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ট্রলারগুলো কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ঘাটসহ আশপাশে ঘাটে ফিরতে শুরু করেছে অপহৃত জেলেরা।

জানা যায়, গত রবিবার ১৪টি মাছধরার ট্রলারসহ ৫৭ জেলেকে টেকনাফের পাটুয়ারটেক থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত গভীর সাগর এলাকা থেকে ধরে নিয়ে যায় জলদস্যুরা। জেলেদের জিম্মি করে তারা মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করে। পরে জেলেরা মুক্তিপণের টাকা পাঠাতে মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। প্রতি ট্রলার থেকে দেড় লাখ টাকা আদায় করে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।

 কক্সবাজার জেলা ফিশিংবোট মালিক সমিতির এক নেতা বলেন, রবিবার সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরের টেকনাফের পাটুয়ারটেক থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত গভীর সাগরে জলদস্যুরা তাণ্ডব চালিয়ে ১৪টি মাছধরার ট্রলারসহ ৫৭ জেলেকে অপহরণ করে। পরে জলদস্যুদের সঙ্গে দফারফার পর বিকাশের মাধ্যমে বোট প্রতি দেড় থেকে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার পরে জেলাসহ ট্রলারগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়।

গভীর সাগরে জলদস্যুদের অপহরণের শিকার ট্রলার মালিক ও জেলেরা বলেন, বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন এলাকায় কয়েক সপ্তাহ ধরে জলদস্যুদের তাণ্ডব বেড়ে গেছে। যে কারণে ওই এলাকাসংলগ্ন সাগরে মাছ ধরা প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাই সাগরে ডাকাতি রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানোর দাবি জানান তারা।