Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

দলের হুঁশিয়ারি সত্বেও নির্বাচনে দিনাজপুরের ১৩ উপজেলায় আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৫:৩৫ PM
আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৫:৩৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


আসন্ন পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনে দিনাজপুরের ১৩ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৮ মার্চ। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তৃণমূল নেতাদের ভোটে বেশির ভাগ উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনীত করলেও বিদ্রোহী প্রার্থীদের ঠেকাতে পারেনি দলটি। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিনে আওয়ামী লীগের ১৭ বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে চারজনের প্রার্থীতা বালিত হলেও এখনো ১৩ জন মাঠে সরব রয়েছেন।

বিদ্রোহী ঠেকাতে না পারা ও তৃণমূলের সিদ্ধান্তে বাইরে মনোনয়ন দেওয়ায় দুটি উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পরাজয় হতে পারে। অন্যদিকে সদর উপজেলায় ‘বিএনপি’ প্রার্থীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। তবে নবাবগঞ্জ ও বিরামপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যার করে নিতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।

দিনাজপুর সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের ইমদাদ সরকার ও বিএনপি নেতা মোকাররম হোসেনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।

বীরগঞ্জ উপজেলায় নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন আমিনুল ইসলাম। আর বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুল ইসলাম চৌধুরী বাবুল ও দীনেশ চন্দ্র মহন্ত।

কাহারোল উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ কে এম ফারুক। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা গোপেশ চন্দ্র রায়, আব্দুল মালেক সরকার, আব্দুল করিম ও আরমান সরকার।

বিরল উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে আছেন বিএনপি নেতা আ ন ম বজলুর রশিদ, জাতীয় পার্টির সুধীর চন্দ্র শীল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোকাররম হোসেন।

বোচাগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আফসার আলী। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা ফরহাদ হাসান চৌধুরী ইগলু। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন জুলফিকার হোসেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতা জুলফিকার আলী ভুট্ট স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু মনোনয়নপত্রে ত্রুটির কারণে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল হয়ে গেছে।

পার্বতীপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাফিজুল ইসলাম প্রামাণিক। দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আকতার হোসেন। কিন্তু ঋণখেলাপি হওয়ার কারণে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল হয়ে গেছে।

ফুলবাড়ী উপজেলায় আওয়ামী লীগের আতাউর রহমান মিল্টন, ওয়ার্কার্স পার্টির শফিকুল ইসলাম শিকদার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সুদর্শন পালিত মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

চিরিরবন্দর উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আহসানুল হক মুকুল। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক তারিকুল ইসলাম তারিক।

খানসামা উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আবু হাতেম ও সাবেক বিএনপি নেতা ও সদ্য আওয়ামীলীগে যোগ দেওয়া শহীদুজ্জামান শাহ।

নবাবগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের আতাউর রহমানের বিপরীতে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির ফিরোজ সুলতান আলম ও বিকল্পধারার শাহ আলম নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তবে এ উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিতে পারেন বলে জানা গেছে।

বিরামপুর উপজেলায় নৌকা প্রতীকের পারেভেজ কবিরের বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা খায়রুল আলম রাজু। তবে শেষ মুহৃর্তে তিনি তাঁর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিতে পারেন বলে জানা গেছে।

ঘোড়াঘাট উপজেলায় আওয়ামী লীগের আব্দুর রাফে খন্দকার শাহানশাহের বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী শুভ রহমান চৌধুরী।

হাকিমপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হারুন অর রশিদ। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন কৃষক লীগ নেতা কামাল হোসেন রাজ। তবে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ।

Bootstrap Image Preview