সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বিমান হামলায় ৩০০ জন নিহত হওয়ার দাবি করেছে ভারত। হামলায় মিরাজ ২০০০ মডেলের ১২টি যুদ্ধবিমান থেকে ২১ মিনিট ধরে অন্তত ১ হাজার কেজি বোমা ফেলা হয়।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর সীমান্তের বালাকোট, চাকতি এবং মুজাফফরাবাদে জইশ-এ মোহাম্মদের তিনটি ঘাঁটি গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় সূত্রের দাবি, প্রায় ২১ মিনিট ধরে বিমান থেকে লেজার নিয়ন্ত্রিত প্রায় ১ হাজার কেজি বোমা ফেলা হয় এবং প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এতে প্রায় ৩০০ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়েছেন।
সরকারি সূত্রগুলো বলছে, ভারতের গোয়েন্দারা বিগত কয়েক দিনে অন্তত ১৩টি লাঞ্চপ্যাড নিক্ষেপ করে লক্ষ্যবস্তু রেকি করে।
যদিও সর্বশেষ দাবির বিষয়ে পাকিস্তান কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। তবে, পাক সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) ডিজি মেজর জেনারেল আসিফ গফুর একাধিক টুইট করে ঘটনার বিস্তারিত জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ভারতীয় বিমানবাহিনী আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করে। এরপর পাকিস্তান বিমানবাহিনী টের পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জবাব দেয়। এতে ভারতীয় বাহিনী পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।’
বালাকোটে ভারতীয় বাহিনীর ফেলা বোমার ছবি দিয়ে পরে আরেক টুইটে আসিফ গফুর বলেন, ‘পাক বাহিনী সময়মতো এবং উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, ভারতীয় বাহিনী আজাদ ও কাশ্মীরের ৩-৪ কিলোমিটার ভেতরে এসেছিল।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় পুলিশ কনভয়ে আত্মঘাতী হামলায় ৪০ জওয়ান নিহত হন। পরে জইশ-এ মোহাম্মদ এ হামলার দায় স্বীকার করে। এ হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে ভারত। যদিও পাকিস্তান তা নাকচ করেছে।
পুলওয়ামা হামলার প্রেক্ষাপটে পরমাণু শক্তিধর দু’দেশের দীর্ঘ বৈরি সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। সীমান্তে উভয় দেশ সমরাস্ত্র ও সেনা মোতায়েন করে যুদ্ধের হুমকি দিতে থাকে।
এমন পরিস্থিতিতে সোমবার রাতে হামলার দাবি করল নয়াদিল্লি। এর আগেও ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে উরিতে ১৯ সৈন্য নিহতের জেরে পাকিস্তান ভূখণ্ডে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দাবি করেছিল দেশটি।