Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১২ রবিবার, মে ২০২৪ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আমি তৈরি আছি, নো প্রবলেম: সিমলা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:২০ PM
আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:২০ PM

bdmorning Image Preview


বাংলাদেশ বিমানের ময়ূরপঙ্খি উড়োজাহাজ ছিনতাইচেষ্টার ঘটনায় নিহত যুবক পলাশের সঙ্গে বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন ম্যাডাম ফুলি খ্যাত চিত্রনায়িকা সিমলা। তিনি বলেন, পলাশের সাথে আমার বিয়ে হয়েছিলো গত বছরের ১৮ মার্চ। এর আগে তার সাথে আমার পরিচয় হয় ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তে। ‘নাইয়োর’ সিনেমার পরিচালক রাসেদ পলাশের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় (২৫ ফেব্রুয়ারি) একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন সিমলা।

পলাশের বিষয়ে সিমলা বলেন, আমি পলাশ মাহমুদকে মূলত একজন সিনেমা প্রযোজক হিসেবেই চিনি।

সিমলা আরও বলেন, আমাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে চার মাস আগে গত বছর নভেম্বর মাসের ৬ তারিখে।

‘সমস্যা ছিল বলেই তো ডিভোর্স দিয়েছি, তবে মানসিক সমস্যাটা একটি মূল কারণ’ যোগ করেন এই চিত্র নায়িকা।

তিনি আরও বলেন, পুরো ঘটনাটা আমি শুনেছি। চার মাস আগে আমি তাকে ডিভোর্স দিয়েছি। এখন আমার কি করা উচিত?

পলাশের এহেন কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে সব কিছুই তিনি জানেন এমনটাই বলেন সিমলা। তিনি বলেন, এ্যাবনর্মাল হয়ে পলাশ যেই কাজটাই করুক না কেনো এটা দেশের জন্যে ক্ষতিকর।

‘দেশের স্বার্থের জন্য আমাকে যদি কোন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় তাহলে আমি তৈরি আছি, নো প্রবলেম, আমি ক্লিয়ার। এখানে আমার কোন কিছু ঢাকার নাই’ বলেন ম্যাডাম ফুলি খ্যাত এ চিত্রনায়িকা।

গতকাল রবিবার বিকেলে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া দুবাইগামী বিজি-১৪৭ ফ্লাইটটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে পলাশ। পরে বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে উড়োজাহাজটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। বিমান ছিনতাই চেষ্টাকারী ওই ‘অস্ত্রধারী’ ঐ যুবককে ধরতে কমান্ডো অভিযান পরিচালিত হয়। এরপর সেনা অভিযানে তার নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে রুদ্ধশ্বাস এই অভিযান শেষ হয়।

এদিকে, পলাশের নিহতের সংবাদে শত শত মানুষ তার গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাওয়ের দুদঘাটা গ্রামে ভিড় করেছে। তার বাবা পিয়ার জাহান ও মা রীনা বেগম সন্তানের শোকে কাতর হলেও লাশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

পলাশের বাবা পিয়ার জাহান বলেন, ১৯৯০ সালে কাজের উদ্দেশ্যে তিনি ইরাক চলে যান। সেখানে চার বছর থাকার পর দেশে ফিরে আসেন। পরে তিনি আবার সৌদি আরব চলে যান। ২০১২ সালে তিনি দেশে ফেরেন।

তিনি বলেন, এর মধ্যে ছেলে পলাশ মাহমুদ তাহেরপুর ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা থেকে ২০১২ সালে দাখিল পরীক্ষা দিয়ে পাস করে। দাখিল পাস করে সে সোনারগাঁ ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হয়। সেখানে পড়া অবস্থায় সে ঢাকায় চলে যায়। তারপর থেকে তার আচরণে পরিবর্তন দেখা দেয়। শুনেছি পলাশ নাকি ঢাকায় চলচ্চিত্রে কাজ করার চেষ্টা করছিল। তখন বাড়ির সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল না। মাঝে মাঝে বাড়িতে এলেও এলাকার মানুষের সঙ্গে মিশত না, কথা বলত না।

পিয়ার জাহান বলেন, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির দিকে চিত্রনায়িকা সিমলাকে নিয়ে রাতের বেলা বাড়িতে আসে পলাশ। মেয়েটিকে চিত্রনায়িকা ও তার প্রেমিকা বলে আমাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। দুই মাস পর আবার সিমলাকে বাড়িতে নিয়ে এসে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। বিয়ের কথা সিমলাও আমাদের কাছে স্বীকার করে। ওই রাতেই তারা আবার ঢাকায় চলে যায়।

তিনি বলেন, আমরা সিমলাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি, তাকে বলেছি আমার ছেলেকে যেন ভালো পথে ফিরিয়ে আনে। ছোটবেলা থেকেই ছেলেটি অবাধ্য ছিল।

সর্বশেষ ২০-২৫ দিন আগে পলাশ বাড়িতে আসে। বাড়িতে আসার পর তার আচরণে বিরাট পরিবর্তন দেখা দেয়। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া শুরু করে, মসজিদে গিয়ে আজানও দিয়েছে। সর্বশেষ শুক্রবার বাড়ি থেকে যাওয়ার আগে বলেছে সে কাজের সন্ধানে দুবাই যাবে।

Bootstrap Image Preview