Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৭ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

গতকাল ওই প্লেনে ছিলেন না এমপি বাদল

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৮:২৩ PM
আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৮:২৩ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাইগামী বাংলাদেশ বিমান ছিনতাইয়ের সময় ওই ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন না বলে জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের (একাংশ) সভাপতি ও সংসদ সদস্য মইনুদ্দিন খান বাদল।

তিনি বলেন, পত্র-পত্রিকায় দেখলাম গতকাল রবিবার ছিনতাইয়ের চেষ্টার সময় আমি প্লেনে ছিলাম বলা হয়েছে। কিন্তু তখন ওই প্লেনে আমি ছিলাম না। আমি প্রথমেই ভুলটা ভাঙিয়ে দিতে চাই।

আজ সোমবার রাতে সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে একথা বলেন তিনি। এর আগে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বিষয়টি নিয়ে সংসদে ৩০০ বিধিতে বিবৃতি দেন।

সাংসদ বাদল বলেন, ওইদিন চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর একটা অনুষ্ঠান ছিল আমি সেই অনুষ্ঠানের পরে ওখানে (চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে) এসেছি ঢাকায় আসার জন্য। আমি বিমানবন্দরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখি লোকজন ছুটাছুটি করছে। জিজ্ঞাসা করলাম কী হয়েছে বললেন একটা প্লেন হাইজ্যাক হয়েছে। তারপর বলল হাইজ্যাকার আছে, বলতে বলতে প্লেনটা ল্যান্ড করে।

তিনি বলেন, এটা কাকতালীয় হবে। এই প্লেনটাতেই প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন। এই যখন হচ্ছে, তখন আমার সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংও ছিলেন। আমি বীরকে বললাম আমাদের নৈতিক দায়িত্ব একজন সংসদ সদস্য হিসেব বিষয়টি জানা। সেজন্য আমি বিমানবন্দরের টার্কমার্কে (যেখানে প্লেন নামে) চলে গেলাম। যাই হোক আমি তারপর থেকে শেষ পর্যন্ত ওখানে উপস্থিত ছিলাম। নানান কাহিনী বিস্তার লাভ করেছে। মোদ্দা কথা হলো একজন অস্ত্রধারী ব্যক্তি প্লেনের পেছন থেকে এসে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করছিল। পাইলটকে বলেছিল তুমি দরজা খুলে দাও, পাইলট খুলে নাই। কতগুলো পত্রিকায় দেখলাম পাইলটের সঙ্গে মল্লযুদ্ধ হয়েছে। কেউ কেউ বলছে তখন সে একটা গুলি করেছে। পাইলট কখনো দরজা খোলেনি। পাইলট তাকে ব্যস্ত রাখতে আলোচনা করার চেষ্টা করেছে। তখন পাইলটকে ওই ব্যক্তি বলেছে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান। পাইলট তাকে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই কথা বলবেন কিন্তু একটু সময় লাগবে। অ্যাটিচুড ছিল ব্যস্ত রাখা যাতে কোনো যাত্রীর ক্ষতি না করে।

তিনি বলেন, ক্যাপ্টেন শফিক অত্যন্ত দুরদর্শিতার সঙ্গে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় প্লেনটাকে চট্টগ্রামে ল্যান্ড করে। ফ্লাইটের ক্রু তিনটা মেয়ে, দুইটা ছেলে, নিন্মি, হোসনেয়ারা, রুমা, সাগর, শাফুর। তারাই যাত্রীদের আশ্বস্ত করার জন্য ভূমিকা রেখেছে। তারা বিজনেস ক্লাস আর ইকোনোমিক ক্লাসের পর্দা টেনে দিয়েছে। পর্দা টেনেই এই মেয়েরা সাহসিকতার সঙ্গে দুইটা দরজা খুলে দেয় তখন যাত্রীরা দ্রুতার সঙ্গে বের হতে শুরু করে।

তিনি বলেন, রিয়েল হিরোদের স্বীকৃতি পায় না। চট্টগ্রামে ক্যাপ্টেন গোলাম শফি এবং তার ফার্স্ট অফিসার মুনতাসির মাহবুব এবং ৫ জন ক্রুকে যথাযথভাবে পুরস্কৃত করা উচিত।

Bootstrap Image Preview