বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী নারায়ণগঞ্জ জেলার বাসিন্দা এবং সে আগে থেকে র্যাবের ‘তালিকাভুক্ত একজন অপরাধী’।
আজ সোমবার বেলা ১২টার আগে র্যাবের পক্ষ থেকে এক বার্তায় এমনটি জানানো হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী ছিনতাইচেষ্টাকারীর পরিচয় পলাশ আহমেদ।
র্যাবের বার্তায় বলা হয়, বিমান ছিনতাইচেষ্টায় কমান্ডো অভিযানে নিহত সন্ত্রাসী র্যাবের অপরাধী ডাটাবেজের অন্তর্ভুক্ত। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার পিরিজপুরের দুধঘাটা ইউনিয়নের বাসিন্দা। তার বাবার নাম পিয়ার জাহান সরদার।
র্যাব আরো জানান, প্লেনটি ঢাকা থেকে দুবাইগামী হলেও পলাশ ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী ছিলেন। টিকেট অনুযায়ী তার নাম ‘আহমেদ/মো. পলাশ’। ফ্লাইটের ‘১৭এ’ আসনের যাত্রী ছিলেন তিনি।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ঠিক কোন অপরাধের জন্য তিনি আমাদের ডাটাবেজে ছিলেন তা তদন্তের স্বার্থে এখনই প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তবে উপযুক্ত সময়ে সেই তথ্য আমরা গণমাধ্যমের সঙ্গে শেয়ার করবো।
এর আগে গতকাল রবিবার বিকালে দুবাইয়ের উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের বিমান ময়ূরপঙ্খী উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে বিমানটি। চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের জরুরি অবতরণ করা হয়। জরুরি অবতরণের পরপরই রানওয়েতে বিমানটি ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ।
পরে সব যাত্রীকে নিরাপদে নামিয়ে আনা হলেও একজন যাত্রী এবং একজন ক্রুকে ওই ছিনতাইকারী জিম্মি করে রাখে। পরে বিমান ছিনতাই চেষ্টাকারী সন্দেহভাজন অস্ত্রধারীকে ধরতে কমান্ডো অভিযান পরিচালিত হয়। এরপর ছিনতাইকারীর নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে রুদ্ধশ্বাস এই অভিযান শেষ হয়। ফ্লাইটটিতে ১৩৪ জন যাত্রী ও ১৪ জন ক্রু ছিল।
অভিযানের পর চট্টগ্রাম সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ছিনতাইকারীর বয়স ২৫-২৬। ক্রু’কে সে তার নাম ‘মাহাদী’ বলে জানিয়েছে।
ঘটনাটি তদন্তে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোকাব্বির হোসেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে কবে নাগাদ তদন্ত প্রতিবেদন দিতে হবে তা সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।