ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে অজ্ঞাত রোগে একই পরিবারের পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে।একই রোগে আক্রান্ত তিন জন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরইমধ্যে আতঙ্কে এলাকা ছেড়েছেন অনেকে।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের ভান্ডারদহ গ্রামের নয়াবাড়ি মহল্লার তাহের আলী (৫৫) রহস্যজনকভাবে মারা যান। এ ঘটনার ১১ দিন পর গত ২০ ফেব্রুয়ারি একইভাবে মারা যান জামাতা হাবিবুর রহমান (৩৫) এবং পরের দিন মারা যান তাহের আলীর স্ত্রী হোসনে আরা (৪৫)। এর দুদিন পর গতকাল তার দুই ছেলে ইউসুফ আলী (৩০) ও মেহেদী হাসানেরও (২৪) মৃত্যু হয়।
আজ সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি তদন্ত ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা রয়েছে। বিকালে তদন্ত দল ঘটনাস্থলে যাবেন।
বর্তমানে হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন ইউসুফ আলীর স্ত্রী ও মেয়ে লাবি। এছাড়া এলাকার অপর এক নারীও একই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমর কুমার চ্যার্টাজি।
এলাকাবাসীর দাবি, তাহের আলীর পরিবারের সদস্যরা নিজের বাড়িতে ‘কালো জাদু’ করতেন।
লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাসুদ করিম জানান, তিনি ইউসুফের নামাজে জানাজায় অংশ নেওয়া পর ভয়ে গ্রাম ছেড়েছেন। একই কারণে গ্রাম ছাড়ার কথা জানান কৃষক আব্দুল জব্বার।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসাব্বেরুল হক বলেন, ‘নিহত মেহেদীর রক্ত, মলমূত্র পরীক্ষা নিরীক্ষার পর রংপুরের চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে রোগ নির্ণয়ে সক্ষম হয়েছেন। এটি একটি ভাইরাসজনিত এবং বিরল রোগ। এটি সরাসরি মস্তিকে বাসা বাধে।’
ঠাকুরগাঁও ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. শাহনেওয়াজ মুঠোফোনে বলেন, ‘রোগ নির্ণয়ের কাজ শুরু হয়েছে। তবে ভয়ের কারণ নেই। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মীরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে দুর্গত এলাকা।’