Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ রবিবার, মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শেখ হাসিনা টেকা দিয়া কমিটি দেয় না: মুকুল

ওয়াহিদ সোহান, মালয়েশিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৫:৪২ PM
আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৫:৪২ PM

bdmorning Image Preview


মালয়েশিয়াতে যদি টাকার দিয়ে কমিটি আনা যাইতো তা হলে আমার আগে কেউ পারতো না। জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি টেকা খাইতো, টেকা দিয়া কমিটি দিতো তাহলে আমাকে দিতো বলে মত প্রকাশ করেন দেশটিতে আওয়ামী লীগের এক গ্রুপের নেতা।

শনিবার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ফার্স্ট বিসনেস ইন হোটেলে মালয়েশিয়া  আওয়ামী লীগের মুকুল-কামাল গ্রুপের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন অনুষ্ঠানে মুকুল-কামাল গ্রুপের মুকুল এ কথা বলেন।

মালয়েশিয়ার মাটিতে মাতৃভাষা দিবস পালন বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত গর্বের বলে উল্লেখ করেন উপস্থিত বক্তারা।

তারা আরও বলেন, পৃথিবীর বুকে আমরাই গর্বিত জাতি যারা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষা অর্জন করেছি।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন: ডা এটিএম ইমদাদুল হক, শওকত হোসেন পান্না, কামরুজ্জামান কামাল, জসীমউদ্দীন।

মনিরুজ্জামান মনিরের পরিচালনায় সভাপতিত্ব করেন মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সভাপতি মুকবুল হোসেন মুকুল।

সভাপতির বক্তৃতাকালে মুকবুল হোসেন মুকুল নেতাকর্মীদের সামনে মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপের কারণ ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, মালয়েশিয়াতে যদি টাকার দিয়ে কমিটি আনা যাইতো তা হলে আমার আগে কেউ পারতো না। জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি টেকা খাইতো টেকা দিয়া কমিটি দিতো তাহলে আমাকে দিতো।

আমার টেকা আছে ,আমার দেয়ার ক্ষমতা আছে। আমি দেয়ার কেপাসিটি রাখি। তার তো প্রমাণ পাইছেন। এম রেজাউল করিম রেজা দেখছে যে , ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপকমিটির সদস্য হবার জন্য বায়োডাটা জামা দিছি এই খবরটা আমাদের এইখানে যারা আছেন তারা কেউ দিছেন। আমি বলছি যে, এতো টাকা তো রেজার দেয়ার ক্ষমতা নাই। কামাল ভাই বলেন, এইটা দিয়া কি হবে? আমি বলি যেহেতো ও দিছে (রেজার) ওর আগে আমাদের লাগবে। কামাল ভাইর সামনে বিশ, চল্লিশ লাখ টাকার চেক কেটে দিয়া যা তোরা ব্যাংক থেকে ক্যাশ করে নিয়ে আন আমরা মিটিংয়ে দাঁড়ায় আছি তবুও আমাদের নাম গোষণা করুক। এইভাবে যদি শেখহাসিনা টাকা দিয়ে  কমিটি দিতো তা হলে আমাকে কমিটি দিতো।    

মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে চলমান কুন্দলের অবসান আদৌ হবে কিনা এই নিয়ে আশঙ্কা এবং মিশ্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন নেতাকর্মীরা।

অন্যদিকে দিকে মালয়েশিয়া শ্রমিকলিগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম বাবুল ক্ষোভ  প্রকাশ করে বলেন, মূল দলের (মুকুল-কামাল গ্রুপ) এবং (রেজা-ওহিদ গ্রুপের) কারণে হাইকমিশনে আমরা সাধারণ শ্রমিকরা অবহেলিত। দল দশ বছর ক্ষমতা থাকার পরেও আমরা কোনো প্রকার সুযোগ-সুবিধা পাই না হাইকমিশন থেকে। দশ বছরেও আপনারা কমিটি আনতে পারেন নাই এইটা আপনাদের ব্যর্থতা।

তিনি আরও বলেন, আপনারা নেতারা তো ভালোই আছেন সমস্যা তো আমার  সাধারণ শ্রমিকদের। আপনারা যদি দুই গ্রুপ এক হতে না পারেন তা হলে আপনারা আপনাদের মতো থাকেন। আমাদেকে আর ডাকবেন না আপনাদের মিটিংয়ে। এইভাবে একে একে সকল বক্তাদের মুখে উঠে আসে নেতাদের পদের জন্য গ্রুপিং বন্ধ করে ঐক্যবদ্ধ মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের কমিটি করার আহ্বান।

Bootstrap Image Preview