বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বাংলা ১৪২৬ সালের হাট বাজার ইজারায় টেন্ডার ম্যানেজ করায় সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
জানা যায়, শেরপুর উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ের ১৬টি ও পৌরসভার ৪টি হাট-বাজার ইজারার জন্য গত ২০ জানুয়ারি হাটবাজার ইজারা বিজ্ঞপ্তিজারী করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক গত ১২ ফেব্রুয়ারি উপজেলার ১৬টি হাটবাজারের মধ্যে ১৩টি হাট-বাজারে মাত্র ২২টি সিডিউল জমা পড়ে। ৩টি হাটবাজারে কোনো সিডিউল জমা পড়েনি।
টেন্ডার ম্যানেজ হওয়ায় অধিকাংশ হাট-বাজারেই সরকারি ইজারা মুল্য দেখিয়ে বাকি টাকা সিডিউল ক্রেতা, প্রভাবশালী নেতা ও প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের মাঝে ভাগবাটোয়ারা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার বৃহৎ হাট মির্জাপুর হাটের সরকারি ইজারা মুল্য ছিল ৩৫ লাখ ৫১ হাজার ২১০ টাকা। হাটটিতে কয়েকটি সিডিউল বিক্রি হলেও টেন্ডার ম্যানেজ হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারেরর কার্যালয়ে শুধুমাত্র একটি সিডিউল জমা পড়ে। তাতে ইজারা মুল্য দেয়া হয়েছে ৩৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা মাত্র।
উপজেলার আরেক বৃহৎ সবজির হাট গাড়ীদহ ইউনিয়নের ফুলবাড়ী সবজি বাজারের কাঙ্খিত মূল্য ছিলো ২৬ লাখ ৯৪ হাজার ৪২৫ টাকা আর একমাত্র সিডিউল মুল্য দেয়া হয়েছে ২৭ লাখ টাকা।
উপজেলার ভবানীপুুর এলাকার একহাট ব্যবসায়ী জানান, ভবানীপুর হাট ইজারা নিতে কয়েকজন সিডিউল কিনলেও বাকিদের ম্যানেজ করে আামি ও আব্দুর রউফ সরকারি মূল্যের চেয়ে কিছু বেশি দিয়ে এবারো হাট নিয়েছি।
টেন্ডার ম্যানেজ না হলে হাট-বাজার গুলোতে লাখ লাখ টাকা বেশি ডাক হতো বলে হাট ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। ম্যানেজ হওয়ায় সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের একজন কর্মচারীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমাদের অফিস থেকে সর্বমোট ৪২টি সিডিউল বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে কোন কোনটিতে ১টি করে সিডিউল জমা হয়েছে। কেউ সিডিউল জমা না দিলে আমাদের কি করার আছে।
টেন্ডার ম্যানেজ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সেখ জানান, ম্যানেজ হতে পারে। তবে আমার সঙ্গে কারও ম্যানেজ হয়নি। সর্বোচ্চ দরদাতাকেই নিয়ম অনুযায়ী হাট দেয়া হবে।