রাজধানীর চকবাজারে মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরেকজনের মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৪৭ জনের মৃতদেহ শনাক্ত হলো। আর যেসব দেহ দগ্ধ হয়ে গেছে ডিএনএ টেস্ট ছাড়া কোন ভাবেই শনাক্ত করা সম্ভব না তাদের শনাক্ত করতে লাগতে পারে এক থেকে ছয় মাস সময়।
শনাক্ত হওয়া প্রত্যেকের মৃতদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপরদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে থাকা ২০ জনের মৃতদেহ এখনও শনাক্ত হয়নি।
জানা গেছে, আজ শনিবার(২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নামের একজনের মৃতদেহ শনাক্ত করে তাঁর পরিবার। পরে তার স্বজনদের কাছে মৃতদেহটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে মঞ্জুর বড় ভাই সাজ্জাদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, পুরো দেহ পুড়ে গেলেও কনুইয়ের কাছে জামার একটি টুকরো ও পরনে ট্রাউজারের একটি টুকরো ছিল। তা দেখে তিনি ভাইকে শনাক্ত করতে পেরেছেন।
এ প্রসঙ্গে চকবাজার থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মুন্সি আব্দুল লোকমান বলেন, ভাই সাজ্জাদ হোসেন দুলুসহ তার পরিবারের লোকজন সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে থাকা মঞ্জুর মৃতদেহ শনাক্ত করেন। মৃত ব্যক্তির শার্ট ও ট্রাউজারের কিছু অংশ বিশেষ দেখে মৃতদেহ শনাক্ত করেন তার পরিবারের লোকজন। সোহরাওয়াদী মেডিকেল কলেজ থেকে মৃতদেহ ঢামেক মর্গে নিয়ে আসা হয়। পরে এখান থেকে তার মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে সিআইডির সহকারী ডিএনএ অ্যানালিস্ট নুসরাত ইয়াসমিন এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, নিয়মিত মৃতদেহের নমুনা দিয়ে শনাক্ত করা হলেও অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে তা সময়সাপেক্ষ। যাঁরা ডিএনএ নমুনা দিতে এসেছেন, তাঁদের রক্ত ও মুখের ভেতর থেকে কোষ সংগ্রহ করা হচ্ছে। মৃতদেহ থেকে হাড় ও দাঁতের নমুনা নেওয়া হয়েছে। মৃতদেহ শনাক্ত করতে এক থেকে ছয় মাস সময় লাগবে।