চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে নগরীর এম এ আজিজ ষ্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠে ১৯ দিনব্যাপী শুরু হয়েছে অভিন্ন বই মেলা। শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকেই জমে উঠেছিল চট্টগ্রামের অভিন্ন বই মেলা। অন্যান্যদিনের চেয়ে ও এদিন বই প্রেমি নানা শ্রেনীর পাঠক, লেখক ও প্রকাশকদের ভিড় বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে। বিকাল তিনটার পর থেকেই মেলা প্রাঙ্গণে মানুষের উপচে পড়া ভীড় শুরু হতে থাকে। সে ভীড় থাকে রাত ৯ টা পর্যন্ত। প্রতিটি স্টলেই পাঠকদের উপচে পড়া ভীড় ছিল।
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্যদিনের চেয়ে এদিন নানা শ্রেনীর পাঠক, লেখক ও প্রকাশকদের ভিড় বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে। সংকল্প প্রকাশনের মালিক মো. মনির হোসাইন মল্লিক বলেন, প্রথমদিনে থেকেই পাঠকের সন্তোষজনক সাড়া মিলছে। আজ সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় পাঠকের সারা আরও বেশি পাচ্ছি। শৈলী প্রকাশনীর স্টলে কথা হয় আরিফ রায়হানের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রথম দিনেই প্রত্যাশানুযায়ী সাড়া পাচ্ছি। ধীরে ধীরে মেলা আরো জমজমাট হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি বলেন, এবারের বই মেলা একটু ভিন্ন। কারণ দীঘদিন পর হলেও চট্টগ্রামের নামকরা সব প্রকাশকদের একত্রিত করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এ মেলার আয়োজন করেছেন। প্রচার ও হয়েছে ভাল। তাই ক্রেতা সমাগম ও বেশি হচ্ছে।
সুবহা বিনতে মামুন নামে এক পাঠক বলেন, প্রথমদিন দেখতে আসলাম। পরিবেশ ভালো লাগছে। তাই আবারো দ্বিতীয় দিন আসলাম বই কেনার প্রস্তুতি নিয়ে। স্টলে এবার নতুন নতুন লেখকদের বই দেখে খুবেই ভাল লাগল।
এদিকে গত রবিবার বিকেলে বই মেলার উদ্বোধন করেন উদ্বোধনী করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
প্রসঙ্গত, রবিবার থেকে শুরু হওয়া বইমেলা চলবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা উন্মুক্ত থাকবে। তবে ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। এবারের মেলার আয়তন প্রায় ৮০ হাজার ৩০০ বর্গ ফুট। স্টল আছে ১১০টি। এর মধ্যে ঢাকার প্রকাশকদের জন্য ৬০টি এবং চট্টগ্রামের প্রকাশকদের স্টল ৫০টি।