রাজধানীর চকবাজারে ভয়াবহ আগুনে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছে বাম ঐক্যফ্রন্ট।
আর এ ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে অভিহিত করেছে জোটটি। হতাহতদের জন্য একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনেরও আহ্বান জানিয়েছেন জোটের নেতারা।
বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) জোটের এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।
একই সঙ্গে আগুনের ঘটনা সঠিক তদন্ত করে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা এবং হতাহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জোর দাবি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়, বাম ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয় কমরেড নাসিরুদ্দিন আহমেদ নাসু, বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড শওকত হোসেন আহমেদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক সারওয়ার মুর্শেদ, কমিউনিস্ট ইউনিয়ন এর আহ্বায়ক ইমাম গাজ্জালী, গণমুক্তি ইউনিয়নের নেতা রেজাউল আলমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আজ সকালে ক্ষতিগ্রন্থ এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় নেতারা ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজখবর নেন ও তাদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে বাম জোটটির নেতারা জানতে পারেন, এই হত্যাকাণ্ডে ইতোমধ্যে প্রায় ৮৫ জন নিহত, শতাধিক আহত ও বড় অংকের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চকবাজারের ছুড়িহাট্টা আবাসিক এলাকায় ৫তলা বাড়ির নীচে রাসায়নিক দ্রব্যের কারখানা থেকে এই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, স্থানীয় বাসিন্দরা তাদের কাছে ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেছেন, কী করে প্রশাসনের নাকের ডগায় একটি আবাসিক এলাকায় রাসায়নিক দ্রব্যাদির গোডাউন ও কারখানা থাকতে পারে?
এর আগেও ২০১০ সালের ৩ জুন রাজধানীর নিমতলীতে একই ধরণের দুর্ঘটনায় ১১৭ জন মানুষ নিহত হয়েছিল, এ সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ আবাসিক এলাকায় রাসায়নিক কারখানা ও গুদাম বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আইনত বিধি নিষেধ থাকার পরেও আবাসিক এলাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রাসায়ানিক দ্রব্যের গোডাউন ও কারখানার অনুমতি দিয়েছিল। উভয় পক্ষই এই অপরাধের জন্য দায়ী। কাজেই বাম ঐক্যফ্রন্ট মনে করে এই অগ্রিকাণ্ড নিছক দূর্ঘটনা নয়, মূলত হত্যাকাণ্ড,’।