Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৭ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

যে কোন সময় ধ্বসে পড়তে পারে চকবাজারের ওয়াহিদ ম্যানশন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৮:৪০ PM
আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৮:৪০ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


রাজধানীর চকবাজারে মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮১টি তাজা প্রাণের অবসান হয়েছে । গতকাল বুধবার রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজার থানার চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের সামনের কয়েকটি ভবনে আগুন লাগে। আগুন লাগার দীর্ঘ ১৫ ঘণ্টা পর আগুন নিভিয়ে উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে।

উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হলেও বিকেলে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছিলো চকবাজারের ওয়াহিদ ম্যানশনের ভেতর থেকে। এছাড়াও কিছুক্ষণ পর পর দেখা যাচ্ছে আগুণের শিখা। যেকোন সময় ভবনটি ধসে পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বুয়েটের একটি বিশেষজ্ঞ দল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহত ৮১ জনে মাঝে ৪১ জনের পরিচয় মিলেছে। ঢাকা মেডিকেলের মর্গে স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে চারপাশের পরিবেশ। এছাড়া অন্য মরদেহগুলোর পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে ঢামেক সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের মধ্যে ৯ জনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এদের প্রাণও যায় যায় অবস্থা। এই ৯ জনের মধ্যে আটজনকে পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে এবং একজনকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। এই ৯ জনের সবাই গুরুতর দগ্ধ। তাদের সবার শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইউনিটের প্রধান সমন্বয়কারী সামন্ত লাল সেন।

আইসিইউতে ভর্তি থাকা সোহাগের শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে। আর পোস্ট অপারেটিভে ভর্তি আটজনের মধ্যে রেজাউল করিমের শরীরের ৫৭ শতাংশ পুড়ে গেছে। জাকির হোসেনের ৩৮ শতাংশ, মুজাফফর আহমদের ৩০ শতাংশ, আনোয়ার হোসেনের ২৮ শতাংশ, হেলাল উদ্দিনের ১৬ শতাংশ, সেলিমের ১৪ শতাংশ, মাহমুদের ১৩ শতাংশ এবং সালাউদ্দিনের ১০ শতাংশ পুড়ে গেছে।

বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইউনিটের প্রধান সমন্বয়কারী সামন্ত লাল সেন জানান, ভর্তি ৯ জনের মধ্যে কারও অবস্থাই ভালো নয়। প্রায় সবারই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে।

Bootstrap Image Preview