ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৭০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও বেশ কয়েজকজন। নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে ঢাকা মেডিকেলসহ (ঢামেক) রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন স্বজনেরা।
বুধবার রাতে আগুনের সুত্রপাত হওয়া রাজ্জাক ভবনের সামনে তিনটি মোটরসাইকেলে ছিলেন ছয় জন। এদের মধ্যে চারজনের খোঁজ পাওয়া গেছে। তবে সিয়াম ও রোহানে সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজ একজনের বাবা মোহাম্মদ হোসেন ঢামেকের সামনে ডুকরে ডুকরে কাঁদছেন।
চকবাজার এলাকার বাসিন্দা মো. মাহিরকে খুঁজে পাচ্ছে না পরিবার। ভাইকে খুঁজতে মেডিকেল চষে বেড়াচ্ছেন বোন নূর এ আনহা। নিখোঁজ জহির উদ্দিনের খোঁজে ঢামেকে এসেছেন ভাগনে রিফাত নেওয়াজ। আগুনে জহিরের দোতলা বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
রিফাত জানান, মামার মুঠোফোন বাজলেও কেউ ধরছে না।
ভাবির খোঁজে এসেছেন গিয়াস উদ্দিন। মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের পর ভাবি নিখোঁজ রয়েছেন। চুরিহাট্টার ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন তিনি।
ভাই আবদুর রহিমকে খুঁজে পাচ্ছেন না ইসমাইল হোসেন। ইসমাইল জানান, খেলনার দোকানের মালিক আবদুর রহিম। আগুন লাগার সময় দোকান বন্ধ করে দেন তিনি।
ঢাকা মেডিকেলে ছেলের খোঁজে এসেছেন আমজাদ হোসেন। পুত্র এনামুল হককে খুঁজছেন স্টেশনারি দোকান ওয়াসিফ এন্টারপ্রাইজরে মালিক আমজাদ হোসেন। রায়হান নামের একজন জানান, বোন সোনিয়া, দুলাভাই মিঠুসহ ভাগনে শাহিদ সেই পথ দিয়ে রিকশায় যাচ্ছিলেন। তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আবদুল আজিজ জানান, ছেলে ইয়াছিন রনি নিখোঁজ আছে।