রাজধানীর চকবাজার এলাকার নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের রাজ্জাক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ধরণা করা হচ্ছে চারতলা ঐ বাড়ির নিচে গোডাউন থাকা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনের সুত্রপাত হয়। এ সময় রাস্তায় পার্কিং করা কয়েকটি গাড়িও পুড়ে যায়।
বুধবার দিবাগত রাত ১০টা ১০ মিনিটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ছোট ছোট বিস্ফোরণের কারণে আগুন রাজ্জাক ভবনের লাগোয়া আট তলা ভবনেও ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭ টি ইউনিট রাত ভর চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এখন চলছে লাশের সন্ধান।
সবশেষ পাওয়া তথ্য মতে এখন পর্যন্ত ৭০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা গেছে। ব্যাগ ভর্তি মৃতদেহগুলো স্ট্রেচারে করে অ্যাম্বুলেন্সযোগে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে। ঢাকা মেডিকেলের রাখা লাশের মধ্যে ৬১ জন পুরুষ, ৫ নারী ও ৪ শিশু রয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র সাঈদ খোকন ও ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিম। সিটি মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ফায়ার সার্ভিসের শতাধিক কর্মীসহ অনেকেই এখানে কাজ করছেন। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাচ্ছি, যাতে করে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করতে পারি।
এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, যারা আহত হয়েছেন তাদের যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হবে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর আমরা ঘটনার তদন্ত করব। কেন, কিভাবে আগুন লেগেছে সে সম্পর্কে জানাতে পারব।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনালের আলী আহাম্মেদ খান বলেন, আগুন লাগার পর থেকেই পর্যায়ক্রমে ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ৩৫টি ইউনিটের দুইশতাধিক ফায়ার ফাইটার্স কাজ করছে। এই জায়গাটা আসলে সংকির্ণ, আমাদের পানির শঙ্কট হয়েছিল। এখানে বিভিন্ন ধরণের ক্যামিকেল আছে। আমরা দ্রুত আগুন নেভানোর চেষ্টা করছি।
আগুনের সুত্রপাত নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেন, গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সুত্রপাত। এখানে এখন বিদ্যুত নেই। আমরা জেনারেটর লাগাব। তারপর সার্চ করে দেখব ভেতরে কোনো মরদেহ আছে কিনা। আমাদের ধারণা মরদেহ থাকতে পারে।
এক প্রত্যক্ষ দর্শী জানান, আমি বাসায় ছিলাম, আগুন আগুন বলে চিৎকার শুনে আমার ছোট মেয়েকে কোলে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যাই। এখানের অলিতে গলিতে বিভিন্ন ধরণের মালামাল ছিল। প্রায়সবই পুড়ে গেছে। আমি শুনেছি সাতজন মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেলে অর্ধশতাধিক ভর্তি। কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কা জনক।