সাঁওতাল বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ আদিবাসী জনগোষ্ঠী। মূলধারার সঙ্গে মিশে যেতে যেতে নিজের ভাষা-সংস্কৃতিকে পরিবারের ছোট্ট পরিমণ্ডলে হলেও পুষে রাখার সুপ্ত বাসনা সাঁওতাল পল্লীর শিক্ষার্থীদের। প্রধান প্রধান নৃগোষ্ঠীর ভাষার পাঠ্যবই প্রণয়ন করে দেয়া হয়েছে তাদের শিক্ষার্থীদের হাতে। কিন্তু সেসব ভাষার পাঠ দানে নেই কোনো শিক্ষক।
জানা যায়, পাঁচ দশক আগেও ৩৭টি ক্ষুদ্র-জাতিগোষ্ঠীর ৬০ হাজারের বেশি পরিবারের বসবাস ছিল বৃহত্তর রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলে। নানা সংকটে, আগ্রাসনে ক্রমেই বিলুপ্ত হচ্ছে নৃগোষ্ঠীর সম্প্রদায়। এখন এ অঞ্চলে সংখ্যা নেমে এসেছে কুড়ি হাজারের নিচে। বিলুপ্ত হয়েছে ৮টি ক্ষুদ্র জাতি-গোষ্ঠী।
প্রসঙ্গত, সাঁওতাল পূর্বভারত ও বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আদিবাসী নৃগোষ্ঠীগুলির একটি। এরা নিজেদেরকে মহাভারতে বর্ণিত কুরু-পাণ্ডবদের অস্ত্রগুরু দ্রোণাচার্যের প্রত্যাখ্যাত-ভাবশিষ্য একলব্যের বংশধর ব’লে বিশ্বাস করে। তাই তীরচালনাকালে এখনও এরা নিজেদের বৃদ্ধাঙ্গুল ব্যবহার করে না। কারণ তাদের আদিপুরুষ একলব্যকে গুরুদক্ষিণাস্বরূপ নিজের বৃদ্ধাঙ্গুল দান করেছিলেন। এরা সান্তাল, সান্তালি, হোর, হর, সাঙ্তাল, সান্দাল, সন্থাল, সান্থাল, সান্তালি, সাতার প্রভৃতি নামেও পরিচিত।