নারী উন্নয়নে সমস্যা ও সম্ভাবনা চিহ্নিত করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে অভিমত ব্যক্ত করেছেন সিএস ডব্লিউ প্রিপারেটরি মিটিংয়ে বক্তারা।
নারী উন্নয়নে বেইজিং প্লাটফরম ফর এ্যাকশন এবং সিডো ডিক্লারেশন বাস্তবায়নে সমস্যা ও সম্ভাবনা চিহ্নিত করে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহন করার বিষয়ে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বক্তরা। আগামী ১১ থেকে ২২ মার্চ ২০১৯ নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য কমিশন অন দ্যা স্ট্যাটাস অফ ইউমেন (সিএস ডব্লিউ) এর ৬৩ তম মিটিং উপলক্ষ্যে ইউ এন ইউমেন বাংলাদেশ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে আজ রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক প্রস্তুতি মূলক সভায় বক্তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
৬৩ তম সি এস ডব্লিউ মিটিং এ সোসাল প্রটেকশন সিস্টেম, একসেস টু পাবলিক সার্ভিসেস এন্ড সাসটেইনেবল ইনফ্রাস্টাকচার ফর জেন্ডার ইকুয়ালিটি এন্ড এম্পাওয়ারমেন্ট অফ ইউমেন এন্ড গার্লস বিষয়ে আলোচনা হবে। এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রতিবেদন পেশ করতে হবে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার এর সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউ এন ইউমেন বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রতিনিধি সুকো ইশিকাওয়া (ঝযড়শড় ওংযরশধধি), গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব ড.মোঃ শামসুল আরেফিন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালায়াধীন বাস্তবায়িত নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মাল্টি সেক্টোরাল প্রোগ্রাম প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. আবুল হোসেন এর সঞ্চালনায় এই সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্লানিং কমিশনের জেনারেল ইকোনোমিক ডিভিশনের জয়েন্ট চীফ ফায়জুল ইসলাম। সভায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিবৃন্দ, সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি, উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন দূতাবাসের প্রতিনিধিরা অংশ নেয়।
কামরুন নাহার বলেন, নারী উন্নয়নে সরকার নানা মুখী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। নারী নীতি, ডমেস্টিক ভায়োলেন্স আইন, নারী উন্নয়ন বাস্তবায়নে কর্মপরিকল্পনা, ডিএনএ আইন সহ অনেক আইন প্রয়ণ করছে। দেশের ২ কোটি নারীকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ক্ষমতায়িত করার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। নির্যাতিত নারীদের সহায়তায় ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ও ১০৯ হেল্প লাইন চালু করেছে।
ড. শামসুল আরেফিন বলেন বাংলাদেশ বেইজিং ডিক্লারেশন ও সিডো সনদ বাস্তবায়নে অত্যান্ত গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে।
সুকো ইশিকাওয়া বলেন বেইজিং ডিক্লারেশন ও সিডো সনদ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ অনেক অগ্রগতি করেছে। কিন্তু এখনও কর্মক্ষেত্রে নারী পুরুষের অংশ গ্রহণ সমান হয় নাই। সড়ক নারীদের জন্য এখনও নিরাপদ হয় নাই। নারীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশকে অনেক কাজ করতে হবে।