নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক শাহাদাত (৩০) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব। উত্তেজক ও নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ধর্ষক শাহাদাত র্যাবের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার শিমুলিয়া এলাকার পুর্বাচল উপশহরে অবস্থিত র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১ এর সিপিসি-৩ ক্যাম্পে র্যাবের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রূপগঞ্জ উপজেলার হাটাব এলাকার এক কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় সোমবার সকালে গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধর্ষক শাহাদাতকে গ্রেফতার করে র্যাব সদস্যরা। গ্রেফতারকৃত শাহাদাত রূপগঞ্জ উপজেলার মধুখালী এলাকার মৃত শাহাবুদ্দিনের ছেলে।
গ্রেফতারকৃত শাহাদাতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে র্যাব আরো জানান, গত ২/৩ মাস আগে ওই কিশোরীর পারিবারিক দারিদ্রতার সুযোগে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সুমন নামের এক যুবক মোবাইল ফোনে কথোপকথন চালাতে থাকে। সুমন ও শাহাদাত দুজনে পরস্পরের বন্ধু। ওই কিশোরী সুমন বা শাহাদাতকে কখনও দেখেনি।
এরই মধ্যে শাহাদাত ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করার পরিকল্পনা করে। ঘটনার ধারাবাহিকতায় পূর্বে গত ২৪ জানুয়ারি দুপুরে শাহাদাত নিজে সুমন সেজে কিশোরীকে দেখা করার কথা বলে। পরে ওই কিশোরী দেখা করার জন্য পার্শ্ববর্তী উপজেলা সোনারগাঁও উপজেলার পেরাব এলাকায় গেলে সুমন পরিচয়ে শাহাদাত কিশোরীর সঙ্গে দেখা করে।
এক পর্যায়ে ওই কিশোরীকে তাজমহল পিরামিড (রাজমনি পিরামিড) এর হোটেলে নিয়ে রাখা হয়। এরপর উত্তেজক ও নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে রক্তাক্ত করে। শুধু তাই নয়, ধর্ষক শাহাদাত সুকৌশলে কয়েক জনের সহযোগিতায় ধর্ষণের কিছু অংশ ভিডিও ধারণ করে কিশোরীকে জিম্মি করে হত্যার হুমকি দিয়ে জোরপুর্বক স্বীকারোক্তি নেয় যে, সম্পূর্ণ ঘটনা গোপন রাখবে।
এদিকে, ধর্ষিতা কিশোরীর মা গত ৩ ফেব্রুয়ারি বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় সুমনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ধর্ষণের ঘটনাটি হাতে নিয়ে উদঘাটন করেন র্যাব-১ এর সিপিসি-৩ এর সদস্যরা। এ ঘটনার সাথে জড়িত শাহাদাতের সহযোগিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানায় র্যাব।