Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৭ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘ভারতের স্বপ্ন কখনই পূরণ হবে না’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১১:২৯ AM
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১১:৩১ AM

bdmorning Image Preview


জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলার পর নতুন করে কূটনৈতিক সংকট শুরু হয়েছে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে। ওই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে এর প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকার করেছে ভারত।

একইসঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা দিয়েছেন, কূটনৈতিকভাবে পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হবে।

ওদিকে মোদির এই স্বপ্ন কখনই পূরণ হবে না বলে পাল্টা হুঙ্কার দিয়েছে পাকিস্তান। একইসঙ্গে ওই হামলায় ইসলামাবাদের যোগসাজশ আছে বলে ভারতের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান।

শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেছেন, পাকিস্তানকে নরেন্দ্র মোদির কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার স্বপ্ন কখনই পূরণ হবে না। জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কুরেশি বলেন, তিনি বেশ আস্থাবান ছিলেন যে, সম্মেলন শেষ মার্কিন সিনেটররা তার সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।

‘জার্মানি, কানাডা, উজবেকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও আফগান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় এ বিষয়টি স্পষ্ট যে, পাকিস্তানকে ভারত যে কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নের দাবি করেছে সেটি ব্যর্থ হয়েছে।’

তিনি বলেন, পুলওয়ামা হামলা থেকে পাকিস্তানের লাভবান হওয়ার কিছু নেই। আর এ ঘটনা সম্পর্কে বিশ্ব অবগত আছে।

ওই হামলার নিন্দা জানিয়ে মেহমুদ কুরেশি বলেন, পাকিস্তান কখনোই সহিংসতার পক্ষে নয়। একই সঙ্গে পাকিস্তানের ভূখণ্ড সন্ত্রাসীদের ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয় না। দোষারোপের খেলায় কেউ কখনো কোনো কিছু অর্জন করতে পারে না।

তিনি বলেন, তদন্ত ছাড়াই দোষারোপের সংস্কৃতি অত্যন্ত দুঃখজনক। এই অঞ্চলের শান্তি এবং স্থিতিশীলতাকে গুরুত্ব দেয়া উচিত ভারতের।

গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেহমুদ কুরেশি বলেন, সহিংসতা পাকিস্তানের পলিসি নয়। কাউকে দোষারোপ করা তো সহজ। আপনি চাইলেই সেটা করতে পারেন। কিন্তু এতে তো কোনো ফল আসবে না।

এদিকে ভয়াবহ ওই হামলার জন্য ভারত পাকিস্তানকে সরাসরি দায়ী করেছে। পাল্টাপাল্টি রাষ্ট্রদূত তলবের পর, পাকিস্তান থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত। এর মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকে সর্বদলীয় বৈঠক থেকে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির রাজনৈতিক নেতারা।

নিরাপত্তা বাহিনীর ৪৪ সদস্য নিহতের ঘটনায় শোকের পর এবার ক্ষোভে ফুঁসছে পুরো ভারত। হামলার বিষয়ে পাকিস্তানের জড়িত থাকার বিষয় খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেলে জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় ভারতের কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফ জওয়ানদের গাড়িবহরে বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি নিয়ে হামলা চালায় কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জয়েশ-ই-মোহাম্মদ। হামলায় ৪৪ সিআরপিএফ জওয়ানের প্রাণহানি ঘটে। ওই গাড়িবহরে ৭৮টি বাসে ২৫০০ জন সেনা সদস্য ছিলো।

Bootstrap Image Preview