ভাষা আন্দোলনের ৬৭ বছর হতে চললেও তালা উপজেলার প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কী ভুলিতে এই গানটি শহীদ মিনারের সামনে দাড়িঁয়ে গাইতে পারে না উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। তবে উপজেলা সদরে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে তার শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৭০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩৫টি মাদরাসা, ১৩টি মহাবিদ্যালয় ও ২১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে নন এমপিও ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, ২৮টি মাদরাসা ও ১৮১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন শহীদ মিনার নেই।
স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, বাংলাদেশ নামক ভুখণ্ডের সকল আন্দোলন সংগ্রামের সূতিকাগার শহীদ মিনার। আমাদের দুর্ভাগ্য যে ভাষা আন্দোলনের ৬৭ বছর আর দেশ স্বাধীনের ৪৮ বছর পার হতে গেছে কিন্তু তালা উপজেলাসহ দেশের শতভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনও শহীদ মিনার নির্মিত হয়নি। বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধার পক্ষের সরকার, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য উত্তরধাকারী। তার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নতির চরম শিখরে পৌছে যাচ্ছে। তিনি যদি প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার করার উদ্যোগ নেন তাহলে হয়ত আমি মৃত্যুর আগে শহীদ মিনার গুলো দেখে যেতে পারবো।
উপজেলা শিক্ষা অফিসারা জানান, জায়গা সংকটের কারণে কিছু কিছু স্কুলে শহীদ মিনার নির্মাণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে আমরাও চাই সব শিক্ষা প্রতষ্ঠানে দ্রুত শহীদ মিনার নির্মাণ করা হোক। যাতে স্কুল পর্যায় থেকেই সকল শিক্ষার্থীরা মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারে। যে সকল প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই আমরা সে সকল প্রতিষ্ঠানের তালিকা উর্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করেছি। তবে শহীদ মিনার না থাকলেও সকল প্রতিষ্ঠানে যথাযোগ্য মর্যাদায় ভাষ দিবস পালিত হয়ে থাকে।