এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে তিনি ভুয়া দুইজন কক্ষ পরিদর্শক নিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু ধরা গেছেন। এঘটনায় তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি ধামরাইয়ের যাদবপুর বিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব আলী হায়দার।
বুধবার ধামরাইয়ের ইউএনও আবুল কালাম ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক কেন্দ্র সচিব আলী হায়দারকে এ জরিমানা করেন। একই সঙ্গে তাকে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তার স্থলে বেরশ শিবনাথ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেন কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন।
ধামরাইয়ের ইউএনও আবুল কালাম জানান, যাদবপুর বিএম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলী হায়দার কেন্দ্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান। এরপর পরীক্ষার্থীদের নকল করতে সহায়তা করার জন্য এমপিওভুক্ত স্কুলের শিক্ষককে কক্ষ পরিদর্শক না করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ধামরাইয়ের আমছিমুর সেসিপ মডেল হাইস্কুল ও পাশের আশুলিয়ার গোহাইলবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করে কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলামকে কক্ষ পরিদর্শক হিসেবে নিয়োগ দেন।
কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী শামিউর রহমান ও উপজেলা ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটেটর মিজানুর রহমান বিষয়টি জানতে পেরে ওই দুই ভুয়া কক্ষ পরিদর্শককে চ্যালেঞ্জ করলে তারা দুইজনই পালিয়ে যান। এতে কেন্দ্র সচিব আলী হায়দার এক কেন্দ্র পরিদর্শকের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন।
পরে তিনি কেন্দ্র সচিবের নিয়োগকৃত দুই ভুয়া কক্ষ পরিদর্শক সম্পর্কে তথ্য উদ্ঘাটন করেন। এতে আমছিমুর সেসিপ মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল বাসার ও গোহাইলবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রউফের কাছ থেকে জানতে পারেন, কেন্দ্র সচিবের নিয়োগ করা কক্ষ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম তাদের স্কুলের শিক্ষক নয়।
এরপরই বুধবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে যাদবপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব আলী হায়দারকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।