Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ওসিকে ফোন দিয়ে অঝোরে কাঁদলেন বেবী নাজনীন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৫:০৯ PM
আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৫:১৮ PM

bdmorning Image Preview


বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য ভ্যান খরচ দিতে পারেন না বাবা। সাইকেল কেনার টাকাও নেই দশম শ্রেণির ছাত্রী বেবী নাজনীনের। এমতাবস্থায় মেয়েটির পাশে দাঁড়িয়েছেন কলারোয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান। নিজের টাকা দিয়েই মেয়েটিকে সাইকেল কিনে দিয়েছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলারোয়া থানা চত্বরে বাইসাইকেলটি বেবী নাজনীনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এসময় তার মা লিলিমা বেগমসহ থানার অন্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বেবী নাজনীন কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি ইউনিয়নের আইচপাড়া আজিবর বিশ্বাসের মেয়ে ও কয়লা ইউনিয়নের মির্জাপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।

জানা যায়, অভাবের সংসার বেবী নাজনীনের বাবা আজিবর বিশ্বাসের। ঠিকমতো সংসার চালাতে হিমশিম খান। তবে মেয়ে বেবী নাজনীনকে লেখাপড়া শেখাচ্ছেন। মেয়েটিকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য ভ্যান খরচ দিতে পারেন না বাবা। তবুও বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করেনি বেবী নাজনীন। হঠাৎ ওসিকে ফোন দিয়ে কান্নাকাটি শুরু করে মেয়েটি।

এ ব্যাপারে ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, মেয়েটিকে কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করলে জানায়, প্রতিবেশী চাচাতো বোনের বাইসাইকেলে হাত দেয়ার জন্য বকাবকি ও ঝগড়া করেছে। স্কুলে যাওয়ার জন্য বাবা খরচ দিতে পারেন না। আমি কি করবো। তখন তাকে আমার সঙ্গে দেখা করতে বলি। আমারও সন্তান রয়েছে। নিজের সন্তান ভেবে মেয়েটিকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য একটি বাইসাইকেল কিনে দিয়েছি। সাইকেলটি পেয়ে মেয়েটিও খুব খুশি হয়েছে।

বেবী নাজনীনের মা লিলিমা বেগম বলেন, বাবা ভ্যানভাড়া দিতে না পারলেও মেয়েটি বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করেনি। পায়ে হেঁটে স্কুলে যেতো। প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝগড়া করেই মেয়েটি কাউকে কিছু না বলেই ওসি স্যারকে ফোন করে। ওসি স্যারও সমাধান করে দিয়েছেন। এখন আর কারো সঙ্গে ঝগড়া হবে না বেবীর।

Bootstrap Image Preview