যশোর শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়ার পর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। আন্তঃবোর্ড সমন্বয় কমিটির সঙ্গে কথা বলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার তারিখ পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে।
আজ মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, আইসিটি বিষয়ে পূর্ণমান ৫০। এরমধ্যে ২৫ মার্কস নৈর্ব্যক্তিক ও বাকি ২৫ মার্কস ব্যবহারিক। নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার সময় আধা ঘণ্টা।
শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিষয়ের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা শুরু হয়। তাদের কক্ষে বোর্ডের ‘ঘ’ সেট প্রশ্নপত্র দেয়া হয়। এই প্রশ্নপত্রের প্রথম পৃষ্ঠায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের ১২টি প্রশ্ন থাকলেও অপর পৃষ্ঠায় ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ের ১৩টি প্রশ্ন সংযুক্ত ছিল। পরীক্ষা শুরুর ২০ মিনিট পর সেই ভুল ধরা পড়লে শিক্ষকরা তাদের উত্তরপত্র বাতিল করে ‘গ’ সেটের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করে নতুন করে পরীক্ষা নেন। এতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শতভাগ উত্তর প্রদানে ব্যর্থ হন।
যশোর জিলা স্কুল কেন্দ্রের সামনে অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, তাদের সন্তানরা দিন-রাত প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা হলে গিয়ে ভুল প্রশ্নপত্র পেল। এতে তারা মানসিকভাবে শুধু ভেঙে পড়ে তা না, পরে অন্য প্রশ্নপত্র দিলে তা নিয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়েও ভীত হয়ে পড়ে।
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল আলীম বলেন, আইসিটি বিষয়ের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রের বাকি তিনটি সেটে কোনো সমস্যা ছিল না। শুধু ‘ঘ’ সেটের প্রশ্নপত্রে ২৫টি প্রশ্নের মধ্যে ১২টি আইসিটি বিষয়ের থাকলেও বাকি ১৩টি ক্যারিয়ার শিক্ষার প্রশ্ন সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি বোর্ড কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে পরীক্ষা বাতিল করা হয়।
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র জানিয়েছেন, এ বোর্ডে ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৩১ জন। আর আইসিটি বিষয়ের পরীক্ষার্থী এক লাখ ৫৩ হাজারের বেশি। অন্যান্য বোর্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সকল বোর্ডের পরীক্ষার রুটিন প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু ওই রুটিনে পরীক্ষাবিহীন কর্মদিবস নেই। ফলে আন্তঃবোর্ড সমন্বয় কমিটির সঙ্গে কথা বলে আইসিটি পরীক্ষার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
তিনি বলেন, বিজি প্রেসের মুদ্রণজনিত ত্রুটির কারণে আইসিটি বিষয়ের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ভুল হয়।