ভৈরবের চন্ডিবের এলাকার মুর্শিদ-মুজিব উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির স্কুলছাত্রী চায়না বেগমকে (১২) ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর ধর্ষক মোতালেব মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ধর্ষিতার বাবা ওসমান গণি ধর্ষক মোতালেব মিয়ার বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় একটি মামলা দায়ের করলে সেদিন রাতেই ধর্ষককে গ্রেফতার করে ভৈরব থানা পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভৈরবের গোছামারা গ্রামের কৃষক ওসমান গণির মেয়ে ঘটনার দিন গত ২ ফেব্রুয়ারি দুপুর পৌনে ১টার দিকে তার বাবার জন্য খাবার নিয়ে বাড়ির নিকেটে একটি জমিতে যাওয়ার সময় কৃষক (ধর্ষক) মোতালেব পথিমধ্যে তাকে ডাক দেয়।
এসময় মোতালেব তার জমিতে অবস্থিত একটি ছোট ঘরে বসা ছিল বলে বাদীর অভিযোগ। তার ডাকে ওই ছাত্রী তার ঘরে গেলে তাকে ধর্ষণ করে। সেই মুহুর্তে ছাত্রীর চিৎকার শুনে পাশের জমিতে থাকা কাজল ও আমিন নামের দুই কৃষক তাকে উদ্ধার করতে গেলে ধর্ষণকারী দৌড়ে পালিয়ে যায়।
পরে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় মাতাব্বর ও মেম্বারগণ এই ঘটনাটি মীমাংসা করবে বলে আশা দিলেও মীমাংসা করতে পারেনি। অবশেষে ঘটনার ৯ দিন পর সোমবার রাতে ছাত্রীর বাবা থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোখলেছুর রহমান জানান, বিষয়টির ব্যাপারে ছাত্রীর বাবা থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে । পুলিশ ঘটনা তদন্ত করার পর অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।